অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় বাংলাদেশে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 15 June 2019

অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় বাংলাদেশে




প্রস্তাবিত বাজেটে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ওভার্চুয়াল বিজনেস’-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়। সেখানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ সংজ্ঞায় পড়ে গেছে ই-কমার্স বা অনলাইন কেনাকাটা। ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবকে ধরতে গিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের খড়্গ পড়েছে ই-কমার্স খাতেরওপর। 



 ভারতের ই-কমার্সে প্রতিদিন ৫০ লাখ ডেলিভারি হয়। বাংলাদেশে হয় মাত্র ৩০-৪০ হাজার।তুলনায় এক শভাগের এক ভাগও নয়। এইখাতের বিকাশে ভ্যাটকে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন ই-জেনারেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও অন্যতম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুমডটকমের নির্বাহী চেয়ারম্যান শামীম আহসান। গতকাল তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রচলিত বাজারের বেশির ভাগই ভ্যাট দিচ্ছে না।সাড়ে ৭শতাংশ ভ্যাট বসলে অনলাইনে কেউ কেনাকাটা করবে না। অনলাইন কম্পানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে অনেকে। চলতিবাজেটে কোনো ভ্যাট না থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে ভার্চুয়াল বিজনেসের মধ্যে ই-কমার্সকে সংজ্ঞায়িত করে এই ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবকরা হয়েছে। আসলে ই-কমার্স ভার্চুয়াল বিজনেস নয়। এটা অন্যায় হয়েছে।’   



শুধু ই-কমার্স নয়, এই ভ্যাট দিতে হবে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যারা পণ্য বিক্রি করে তাদেরও। অনলাইন কেনাকাটায় এই ক্যাটাগরিএফ-কমার্স হিসেবে পরিচিত। দেশে বর্তমানে এমন হাজার হাজার ছোট ছোট উদ্যোক্তা রয়েছে। আগে একটি আলাদা সেবা কোডেঅনলাইন কেনাকাটাকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল। এবার সেখানে অন্য একটি সেবা ঢুকেছে। আর ফেসবুক ওইউটিউবের বিজ্ঞাপন-ব্যবসায় করারোপে নতুন যে আলাদা খাত সংজ্ঞায়িত হলো সেখানে ই-কমার্স ঢুকে গেছে। এতে ই-কমার্সেরওপরও সাড়ে ৭ শতাংশ করের খড়্গ পড়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad