উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থানার অন্তর্গত মালঞ্চ এলাকায় মাত্র ১১ মাস আগেই বেসরকারি সংস্থার কর্মী বন্টি দাসের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল কেয়ার৷ বৃহস্পতিবার রাতে কেয়া তার বাপের বাড়ির এক আত্মীয়র সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট-টপ পরে শ্বশুর বাড়িতে আসে। তাতেই আপত্তি জানায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা৷ অভিযোগ, বিষয়টি আপত্তিতেই থেমে থাকেনি, ওই গৃহবধূ ও তার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অপমান করে কেয়ার বড় জা।
এরপর ওই আত্মীয় কেয়ার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতেই কেয়ার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের তুমুল অশান্তি হয়৷ এরপরেই কেয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর সেই দেহ শুক্রবার রাতে নৈহাটিতে নিয়ে এসে হরিতলা মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে মৃতের বাপের বাড়ির আত্মীয়রা৷ তাদের অভিযোগ, “কেয়াকে ওর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে ।
আমরা ওর শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়দের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই । ওদের জন্যই কেয়া মারা গিয়েছে।” বাবার কাকাশ্বশুর দিলীপ দাস বলেন, “ওর অনেক আবদারই আমরা মেনে নিতাম । সেদিন ওকে নরম ভাবেই বোঝানো হয়েছিল যে আধুনিক পোশাক সব সময় না পরাই ভাল । কিন্তু ও যে এই ভাবে নিজেকে শেষ করে দেবে কেউই বুঝতে পারিনি । নৈহাটি থানার পুলিশ এই ঘটনায় মৃতের শ্বশুর বাড়ির দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গিয়েছে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment