পাথরের গয়নায় রাতের সাজ। দেশীয় পাখি, ফুল,
প্রকৃতির মোটিফ নিয়ে কিছু নকশা গয়নায় স্থান পাচ্ছে। এ ছাড়া সনাতনী নকশায়
কানের দুল, হাতের বালা, খোঁপার কাঁটা, আংটি, পায়ের নূপুর, পায়ের আঙুলে
পরার আংটি, কোমরের বিছা, টিকলিও বেশ চলছে। তরুণীরা
সব সময়ই সাজপোশাকের অনুষঙ্গে পরিবর্তন পছন্দ করেন। ফ্যাশন ও স্টাইলে তাঁরা
বেশ মনোযোগী। গয়নার নকশার ধারা পরিবর্তন হয়।
আরাম আর স্বস্তি
মাথায় রেখেই ফ্যাশনে গয়না যুক্ত করা হয়। কাপড়, কড়ি, পুঁতির মালা দেখতে
সুন্দর হয়। রাতের জমকালো সাজে বাহারি
নকশার ধাতব গয়না বেছে নিলেই মিলে যাবে আরাম, স্বস্তি আর আভিজাত্য।
রুপালি রঙের গয়নাই যেন বেশি পছন্দ সবার। এ ছাড়া সোনালি, রোজ
গোল্ড, মেটাল, তামা, পিতলের গয়না বেশ চলছে। এসব গয়নায় নানা রকম নকশা ঘিরে
নানা রঙের পাথরের ব্যবহারও হচ্ছে। এ ছাড়া সোনা, রুপা, হিরের গয়নার
পাশাপাশি সোনার প্রলেপ দেওয়া গয়নাও মানিয়ে যাবে যেকোনো বয়সী যে কাউকে।
ঈদের ফ্যাশনে থাকবে ধাতব গয়নাও। পোশাক ও গয়না: রঙ বাংলাদেশপরামর্শ
হিসেবে তাহমিনা শৈলী জানান, সাধারণ একটা শাড়ির সঙ্গে কানে টপ আর গলায় বেশ
জমকালো হার কিংবা চোকার পরা যেতে পারে। আবার জমকালো শাড়ির সঙ্গে এক
হাতে বড়সড় একটা আংটি, আরেক হাতে কয়েকটি চুরি বা মোটা বালা পরা যায়। কানে
থাকুক বড় দুল। বেশি গয়না পরতে চাইলে পোশাকটা সাদামাটা হলে দেখতে ভালো
লাগবে; আবার ভারী নকশার পোশাক হলে হালকা নকশার গয়না বেছে নেওয়াই
বুদ্ধিমানের কাজ।
বাজার ঘুরে দেখা গেল পিতল, ব্রোঞ্জ, অক্সিডাইজ, মুক্তা
ইত্যাদি দিয়ে বানানো গয়নার বাহার। এসব গয়নায় রঙিন সুতোর ব্যবহারে আনা
হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ছোট–বড় লকেটে ঝোলানো হয়েছে রঙিন সুতা। রুপার ওপর
সোনার পানি চরানো গয়নার নকশাতে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। হারের সেট, লম্বা
চেইন, চোকার, সীতাহার, বালা, বাজু, লকেট সেটে রয়েছে পুরোনো দিনের নকশা।

No comments:
Post a Comment