প্রায় ২৩ বছর পর। চম্বলের কুখ্যাত ডাকাতরানি ফুলন দেবী, ফের দেখা দিতে চলেছেন পর্দায়। এবার ওয়েব সিরিজে। প্রযোজক সংস্থার পক্ষ থেকে কিশোর অরোরা জানাচ্ছেন, 'কোনও সন্দেহ নেই ফুলন দেবী এক বহু চর্চিত ব্যক্তিত্ব। যে বর্ণিল ব্যক্তিত্বের গুরত্বপূর্ণ নানা পর্যায় এবং স্তর প্রতিটি মানুষের সামনে মেলে ধরা উচিত। ওয়েভ সিরিজ ফরম্যাটও আমাদের তার অনুমতি দিয়েছে।' স্ত্রী ফুলনের আত্মজীবনীর ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে ফুলনের স্বামী উমেদ সিং ভাইয়া জানিয়েছেন, 'এ এমন এক বিদ্রোহিনীর গল্প, যিনি প্রতিটি মহিলার অনুপ্রেরণা। সারা বিশ্বের মহিলার কাছে নৃশংসতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার প্রতীক।' প্রযোজনা সংস্থার আরেক সদস্য শ্রীরাম মন্ত্রী কেডিয়ার কথায়, 'এই মুহূর্তের ডিজিটাল দুনিয়ায় ফুলন দেবীর আত্মসম্মানের জন্য সংগ্রাম, বিসর্জনের কাহিনি ভৌগলিক, জনজাতি নির্বিশেষে সকল দর্শকের মনে জায়গা করে নেবে।'
ফুলনের এই জীবনীতে উত্তরপ্রদেশের এক অজ, ছোট্ট গ্রামের মেয়ে ফুলন। নীচু জাত মল্লাহ সম্প্রদায়ের মেয়ে হওয়ায় যাকে প্রতিনিয়ত অসম্মানিত, অত্যাচারিত হতে হয় সমাজের উঁচু জাত ঠাকুর সম্প্রদায়ের কাছে। ছোট বয়সে ফুলনের বিয়ে হওয়ায় পরও তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল গ্রামে। সেখানেই তাঁর উপর যৌন হেনস্থা, নির্যাতনের নানা ঘটনা ঘটে। বদলা নিতে ফুলন যোগ দেন ডাকাত দলে। ডাকাত সর্দার বাবু গুর্জর, বিক্রম মাল্লাহ, মান সিং-দের সঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেই হয়ে ওঠেন ডাকাতরানি। ঠাকুর সম্প্রদায়ের সেই অত্যাচারী ধর্ষকদের শাস্তি দিতে গুলি করে একে একে হত্যা করেন অনেককে।
পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে, লোকসভার সদস্যও হন তিনি। কিন্তু জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে চাইলেও, ২০০১ সালের ২৫ জুলাই দিল্লিতে আততায়ীর গুলিতে মারা যান ফুলন।
ইউনিট সূত্রে খবর, আপাতত ছবি হবে স্থির হলেও, এখনও মনস্থির হয়নি ফুলনের ওয়েব সিরিজে তাঁর জীবনের কোন পর্যায় পর্যন্ত রাখা হবে।
from ap bangla | অ্যানালিটিক্যাল প্রেস | Analytical Press | http://bit.ly/2WGy0XD
No comments:
Post a Comment