মুখ দেখে কি বলে দেওয়া সম্ভব কোনও মানুষের মৃত্যুর সময়? সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই বিস্ময়কর সত্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে কম্পিউটার। ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি। পুরনো ফোটোগ্রাফ থেকে দশ-বিশ বছর বা তারও পর কোনও ব্যক্তির মুখের গড়ন কী রকম হতে পারে, এই প্রযুক্তির সাহায্যে তা ভেসে ওঠে কম্পিউটার মনিটরের পর্দায়। নিরুদ্দেশকে খুঁজে বের করতে বা কোনও ফেরার আসামির হদিশ করতে বহু দিন ধরেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে বিশ্ব।
এবার তার সঙ্গে দেহের ওজন, রক্তচাপ, ধূমপানের মাত্রা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে যে কোনও দেশের যে কোনও মানুষের মৃত্যুর সম্ভাব্য দিন বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। কী ভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি? আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতত্ত্ব বিশারদ জে ওলশ্যানস্কি জানাচ্ছেন, কম্পিউটারের সাহায্যে প্রথমে নির্দিষ্ট মানুষের মুখচ্ছবি স্ক্যান করা হয়। খুঁটিয়ে দেখা হয় মুখে ফুটে ওঠা বয়সের চিহ্নগুলি। গাল, চোখ, ভ্রূ, ঠোঁট, চোয়ালের প্রতি বর্গ মিলিমিটার পরখ করে খুঁজে নেওয়া হয় বলিরেখার পূর্বাভাস, ডার্ক স্পট বা চামড়া ঝুলে পড়ার সামান্যতম ইঙ্গিত।
এর পর সমবয়সী একই প্রজাতির ও অনুরূপ সামাজিক ও পারিবারিক প্রেক্ষাপটে থাকা অন্যান্য মানুষের মুখের সঙ্গে তার তুলনামূলক পর্যালোচনা করে দেখা হয়। এ ভাবে একজনের স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস, পারিবারিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থান এবং মুখমণ্ডলের 'ভাষা' বিচার করে তাঁর আয়ুর হিসেব কষে কম্পিউটার। ছবি তোলার ব্যাপারেও থাকছে কিছু বিধি-নিষেধ। গবেষকদের মতে, মুখ থেকে সঠিক ক্লু পেতে গেলে ছবি তোলার সময় মুখে কোনও প্রসাধন ব্যবহার করা চলবে না।
এমনকি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে অভ্যাস মতো হাসাও বারণ। কী ভাবে মাথায় এল অভিনব এই আইডিয়া? ওলশ্যানস্কি জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে বিমা সংস্থার এক এজেন্ট তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের সম্ভাব্য আয়ু হিসেব করে তাঁর জীবনবিমার প্রিমিয়াম বলে দেওয়া মহা সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের কথা ভাবতে গিয়েই ওলশ্যানস্কির মাথায় আসে নতুন আবিষ্কারের ভাবনা।
তিনি জানিয়েছেন, গবেষণা করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গিয়েছে, বয়েসের তুলনায় যাঁদের চেহারায় তাড়াতাড়ি বুড়োটে ছাপ ধরে যায়, সাধারণত তাঁরা স্বল্পায়ু হন। পাশাপাশি, বয়সের চেয়ে যাঁদের মুখে নবীনতর দেখায়, তাঁরা দীর্ঘ জীবন যাপন করেন। তবে নয়া প্রযুক্তির সুফল সাধারণের নাগালে আসতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময়, জানিয়েছেন জে ওলশ্যানস্কি।
এবার তার সঙ্গে দেহের ওজন, রক্তচাপ, ধূমপানের মাত্রা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে যে কোনও দেশের যে কোনও মানুষের মৃত্যুর সম্ভাব্য দিন বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। কী ভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি? আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতত্ত্ব বিশারদ জে ওলশ্যানস্কি জানাচ্ছেন, কম্পিউটারের সাহায্যে প্রথমে নির্দিষ্ট মানুষের মুখচ্ছবি স্ক্যান করা হয়। খুঁটিয়ে দেখা হয় মুখে ফুটে ওঠা বয়সের চিহ্নগুলি। গাল, চোখ, ভ্রূ, ঠোঁট, চোয়ালের প্রতি বর্গ মিলিমিটার পরখ করে খুঁজে নেওয়া হয় বলিরেখার পূর্বাভাস, ডার্ক স্পট বা চামড়া ঝুলে পড়ার সামান্যতম ইঙ্গিত।
এর পর সমবয়সী একই প্রজাতির ও অনুরূপ সামাজিক ও পারিবারিক প্রেক্ষাপটে থাকা অন্যান্য মানুষের মুখের সঙ্গে তার তুলনামূলক পর্যালোচনা করে দেখা হয়। এ ভাবে একজনের স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস, পারিবারিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থান এবং মুখমণ্ডলের 'ভাষা' বিচার করে তাঁর আয়ুর হিসেব কষে কম্পিউটার। ছবি তোলার ব্যাপারেও থাকছে কিছু বিধি-নিষেধ। গবেষকদের মতে, মুখ থেকে সঠিক ক্লু পেতে গেলে ছবি তোলার সময় মুখে কোনও প্রসাধন ব্যবহার করা চলবে না।
এমনকি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে অভ্যাস মতো হাসাও বারণ। কী ভাবে মাথায় এল অভিনব এই আইডিয়া? ওলশ্যানস্কি জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে বিমা সংস্থার এক এজেন্ট তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের সম্ভাব্য আয়ু হিসেব করে তাঁর জীবনবিমার প্রিমিয়াম বলে দেওয়া মহা সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের কথা ভাবতে গিয়েই ওলশ্যানস্কির মাথায় আসে নতুন আবিষ্কারের ভাবনা।
তিনি জানিয়েছেন, গবেষণা করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গিয়েছে, বয়েসের তুলনায় যাঁদের চেহারায় তাড়াতাড়ি বুড়োটে ছাপ ধরে যায়, সাধারণত তাঁরা স্বল্পায়ু হন। পাশাপাশি, বয়সের চেয়ে যাঁদের মুখে নবীনতর দেখায়, তাঁরা দীর্ঘ জীবন যাপন করেন। তবে নয়া প্রযুক্তির সুফল সাধারণের নাগালে আসতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময়, জানিয়েছেন জে ওলশ্যানস্কি।
from ap bangla | অ্যানালিটিক্যাল প্রেস | Analytical Press | http://bit.ly/31btNL4
No comments:
Post a Comment