এনআরএস এস কাণ্ডের যে রে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি পাশে সিনিয়র ডাক্তারেরা। ঘটনার পর থেকে দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে আন্দোলন ততই হচ্ছে জোরালো। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারিকে ভ্রূক্ষেপ না করে এবার রাজ্যজুড়ে গণ ইস্তাফার পথে ডাক্তারেরা। ডাক্তারদের সেই গণ ইস্তফার ছায়া এবার সিউড়ি সদর হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, সিউড়ি সদর হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের একটি গোপন বৈঠকে ঠিক হয়, তাঁরা ৬৭ জন ডাক্তার একত্রিত হয়ে গণ ইস্তফা দিচ্ছেন। এই মর্মে সমস্ত প্রক্রিয়া তারা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। ডাক্তারদের আরো হুঁশিয়ারি, যদি আগামী কালকের মধ্যে অবস্থার কোনো রকম উন্নতি না হয় তাহলে তাদের পাঠানো ইস্তফা পত্রকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসাবেই বিবেচনা করা হবে।
যদিও এ বিষয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে সুপার শোভন দে'কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "গণ ইস্তফার বিষয়ে তার কাছে এখনো পর্যন্ত কিছু পৌঁছায়নি। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি শুনেছেন গণ ইস্তফার বিষয়টি।"
একসাথে এতগুলি ডাক্তারের ইস্তফার পর ইতিমধ্যেই বন্ধ সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডাক্তারদের এই কর্মবিরতির মূলে রয়েছে, গত সোমবার রাতে রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে এনআরএসে ব্যাপক উত্তেজনা। রোগীর আত্মীয়দের হাতে নিগৃহীত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি রোগীর আত্মীয়দের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন এক জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। এরপরই ডাক্তারদের সংগঠনের তরফ থেকে এমন কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার এনআরএস কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল ডাক্তারেরা। সেই মত সেদিন সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ডাক্তারদের পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকেই বন্ধ সমস্ত রকম সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা, এমনকি আউটডোরও। এই কর্মবিরতি চলে রাত্রি নটা পর্যন্ত। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ডাক্তারদের সংগঠন ডক্টর ফোরাম।
একদিনের ডাক্তারদের কর্মবিরতিতেই রাজ্যজুড়ে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের নাজেহালের চেহারা। আর এবার সেই কর্মবিরতি মাঝে সংযোজন ডাক্তারদের গণ ইস্তফা।

No comments:
Post a Comment