লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। দলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তৃণমূলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েও দলের ভাঙন রুখতে পারেন নি। দল থেকে কয়েকজন নেতা আর বিধায়ক চলে যাওয়ার পর ভাটপাড়া পুরসভা দখল করে রাজ্যের প্রথম পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছিল গেরুয়া শিবির।
এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজ্যের প্রথম জেলা পরিষদও হাতিয়ে নিয়েছিলো বিজেপি। এছাড়াও কালাচিনির তৃণমূল বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেদিন একটি বিধানসভাও বিজেপির হাতে চলে এসেছিলো।
কোচবিহার বিজেপি একটা পঞ্চায়েত দখল করতে সক্ষম হয়েছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। লোকসভা ভোটের ফলাফল আর কোচবিহার লোকসভা আসনে বিজেপির জয়ের পর ৩৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে নেয়। এর ফলে চরম চাপে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এবার সেখানে আরেকটি পঞ্চায়েতে দখল বসাল বিজেপি। ময়নাগুড়ি ব্লকের ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সহ ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেও দখল বসাল বিজেপি। ১৩ আসন বিশিষ্ট ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ জন। আর আজকে ওই পঞ্চায়েতে আরও ৬ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ালো ১২। আর এই কারণে কার্যত ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে শাসক দল তৃণমূল।
কে
No comments:
Post a Comment