জেনে নিন কলার খোসার কিছু চমৎকার ব্যবহার - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 1 June 2019

জেনে নিন কলার খোসার কিছু চমৎকার ব্যবহার


বিনোদন ডেস্ক: কলা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। কলার স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু কলার খোসারও যে চমৎকার কিছু ব্যবহার আছে তা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। হ্যাঁ এটি শুধু ত্বকের জন্যই উপকারী না, আরো অনেক কাজেই লাগতে পারে কলার খোসা। এর কারণ হচ্ছে কলার খোসা ছত্রাক নাশক, অ্যান্টিবায়োটিক এবং এনজাইমেটিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং ভিটামিন ও থাকে। কলার খোসার কিছু চমৎকার ব্যবহারের কথাই জানবো আজ।

১। সিলভারের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

সিলভারের তৈরি কাঁটাচামচ, ছুরি, কাঁচি ও চামচের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে কলার খোসা। কলার খোসা ও জল ব্লেন্ড করে নিন। তারপর এর মধ্যে নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে  সিলভারের জিনিস ঘষে নিন। 

২। চামড়ার জুতাকে চকচকে করে

আপনার চামড়ার জুতাকে তাৎক্ষণিক ভাবে চকচকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে কলার খোসা।

৩। উদ্ভিজ সার

একটি গ্লাসের জারে পানি ও কলার খোসা দিয়ে এর মধ্যে জলজ উদ্ভিদ দিয়ে রাখতে পারেন। এর ফলে জলজ উদ্ভিদ পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে ও এর বৃদ্ধি হবে চমৎকার ভাবে। ফুলের টবেও দিয়ে রাখতে পারেন কলার খোসা।

৪। অ্যাফিড দূর করে

অ্যাফিড এক ধরণের ক্ষুদ্র পোকা যা ঝাঁক বেঁধে গাছের রসালো অংশে আক্রমণ করে ও গাছকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে। কলার খোসা ছোট ছোট করে কেটে গোলাপ গাছ বা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের কাছাকাছি মাটির নীচে পুতে রাখুন। এতে করে অ্যাফিড দূর হবে, উদ্ভিদের রোগ হওয়া প্রতিরোধ হবে।

৫। প্রজাপতিকে আকৃষ্ট করে

আপনি যদি চান আপনার বাগানে সুন্দর প্রজাপতিগুলো আসুক তাহলে আপনার বাগানে কলার খোসা ছড়িয়ে রাখুন। কলার খোসার মিষ্টি ঘ্রাণ পছন্দ করে প্রজাপতিরা। পাখিরাও পছন্দ করে কলার সুমিষ্ট ঘ্রাণ।

৬। মাংসকে রসালো থাকতে সাহায্য করে

এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে মুরগীর বুকের মাংসের ক্ষেত্রে। মাংস বেকিং বা ভাপে সিদ্ধ করার পূর্বে প্রস্তুতির সময় কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

৭। জলকে বিশুদ্ধ করে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, কলার খোসা নদী থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে নেয়।  বিশেষ করে যে নদীর জলে ভারী ধাতু থাকে সেই নদীর জলকে বিশুদ্ধ হতে সাহায্য করে কলার খোসা।

৮। ফেসিয়াল মাস্ক


  • কলার খোসার এনজাইম আপনাকে স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সাহায্য করবে। আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর কলার খোসার ভেতরের দিকটি সারা মুখে ঘষে ঘষে লাগান। শুকানোর জন্য সময় দিন এবং উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


৯। চুলকানি ও যন্ত্রণা কমায়

যদি আপনাকে মশা বা পিঁপড়ায় কামড়ায় তাহলে এই কামড়ের উপরে কলার খোসা দিয়ে কয়েক মিনিট রাখুন। হালকা আঁচড়ের ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে কলার খোসা।

১০। সোরিয়াসিস নিরাময়ে

সোরিয়াসিসে আক্রান্ত স্থানে কলার খোসার ভেতরের দিক দিয়ে ঘষুন। এতে করে প্রাথমিক অবস্থায় ঐ স্থানটি লাল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু চিন্তিত হবেন না, এটি স্বাভাবিক। নিয়মিত প্রতিদিন এটি করলে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন।

এছাড়াও দাঁত উজ্জ্বল করতে, আঁচিল দূর করতে, ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতে, বলিরেখা প্রতিরোধে, ক্ষতিগ্রস্থ চুলকে ঠিক করতে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে কলার খোসা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad