বিয়ে করা মানেই কি সেক্স করার লাইসেন্স ?

যেকোনো সম্পর্কে বা একটি বৈবাহিক সম্পর্কে সম্মান, বোঝাপড়া ও সহানুভূতিশীল থাকাটা জরুরী। প্রকৃতি নারী ও পুরুষের শারীরিক গঠন ভিন্ন ভাবে তৈরি করেছে, যা আমরা সবাই জানি কিন্ত মানতে নারাজ বা জানতে নারাজ অনেকেই। শিক্ষিত হয়েও মানবিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে যেন তাদের বাঁধা, বিষয়টি কিছুটা এমন ভাবে দাঁড়িয়েছে।
বেশীর ভাগ নারীদের সাধারণত্ব শারীরিক সাইকেল চার সপ্তাহের অর্থাৎ ২৮ দিনের। পিরিয়ড যদি ১ তারিখ থেকে শুরু হয় এবং সবচেয়ে বেশি সাত দিন হয় তাহলে ৮ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত সেই নারী ফারটাইল থাকে কারণ এতে তার শরীরে ডিম্বাণু আসে, এবং ঐ ১২ দিন যৌন মিলনের জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকবে। এর মধ্যে পুরুষের সাথে যৌন মিলনে যদি ঐ ডিম্বানু এক ফোঁটা বীর্যের সংস্পর্শ পায়, তখনই নারী প্রেগন্যান্ট হয়। আর যখন পুরুষের শুক্রাণু না পেয়ে ডিম্বাণুটি ভেঙ্গে যায় তখন ঐ ১২ দিন পর অর্থাৎ ২০ তারিখ থেকে নারীদের শরীরে হরমনাল পরিবর্তন আসে, তাতে নারীদের মেজাজ খিটখিটে থাকে, অতিরিক্ত ইমোশনাল থাকে, অনেকে শুধু শুধু ঝগড়া ও কান্নাও করে। ঐ ২০ তারিখ থেকে যৌনমিলনে নিরাপদ থাকলেও অর্থাৎ প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও, নারীদের কোন ইচ্ছাই থাকে না যৌন মিলন করার।

এখন একজন পুরুষের শরীর ভিন্নভাবে গঠিত, তার যৌন মিলনের ইচ্ছা নারীদের থেকে অনেক বেশী। নারীদের শরীরে ডিম্বাণু আসে মাসে একবার আর পুরুষের শরীরে শুক্রাণু আসে প্রতিদিন, প্রতি নিয়ত। পুরুষের শরীর সপ্তাহে সপ্তাহে হরমোন পরিবর্তন হয় না, একজন নারীর মতো। এখন, পুরুষের শরীরের সাথে পাল্লা দিয়ে তো নারীর সম্ভব না যৌন মিলনে সক্ষম হতে। এই বিষয়টি পুরুষদের উচিত বোঝার, সম্মান করার। তাই বিয়ে করেছেন বলে স্ত্রী আপনার সম্পত্তি এই ভেবে স্ত্রীর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক সেক্স করা অন্যায়, এটি ধর্ষণের সমতুল্য এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণের চর্চা না থাকলে সেটা পশুরও সমতুল্য।