দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোটা আসলে ভবিষ্যতে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার লক্ষণ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে এ দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রতিদিনকার ঘুমের সময়কালের রেকর্ড সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কার প্রতিকার করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল।
গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, যারা মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমুচ্ছেন, তাদের মধ্যে পরবর্তী এক দশকের মধ্যেই স্মৃতিভ্রংশতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
হঠাৎ করে ঘুমের মাত্রা বৃদ্ধিকে অ্যালঝেইমারের লক্ষণ হিসেবে আগেই চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের জেগে থাকার ক্ষমতা
হঠাৎ করে ঘুমের মাত্রা বৃদ্ধিকে অ্যালঝেইমারের লক্ষণ হিসেবে আগেই চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের জেগে থাকার ক্ষমতা
অনেকাংশেই লোপ পায়। নতুন গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, দিনে যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের মস্তিষ্কের আকৃতি তুলনামূলক কম হয়। পাশাপাশি তাদের মস্তিষ্কে যেকোনো তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সময়ও লাগে অনেক বেশি। একই সঙ্গে তাদের ধীরে ধীরে স্মৃতিও হারিয়ে ফেলতে দেখা যায়।
বাড়তি ঘুমের বিষয়টিকে যেহেতু মস্তিষ্কের আকৃতি পরিবর্তনের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা, সেহেতু ঘুম কমিয়ে আনার মাধ্যমে বয়স্করা এখান থেকে খুব একটা লাভবান হবেন না বলেও মনে করতেন তারা। তবে ২ হাজার ৪০০-এরও বেশি ব্যক্তির ওপর ১০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এর প্রতিকারের উপায় কিছুটা হলেও বের করতে পেরেছেন তারা।
গবেষণাপত্রের মূল লেখক যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের ডা. ম্যাথু পেস জানান, ঘুমের সময়কালের রেকর্ড সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তির পরবর্তী ১০ বছরে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার আশঙ্কা কতটুকু বেড়েছে বা কমেছে, তার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব। এ পূর্বাভাসের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতিও নির্ধারণ করতে পারবেন চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি ঘুমের অতিরিক্ত সময়কালের কথা জানাচ্ছেন, তাদের চিন্তা ও স্মৃতিশক্তির ওপরও নজর রাখার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।’
এর আগে চলতি সপ্তাহেই আলঝেইমার ও স্মৃতিভ্রংশতা নিয়ে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে অসংলগ্ন ও এলোমেলো কথাবার্তাকেও আলঝেইমারের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেন গবেষকরা। এছাড়া আরেকটি প্রতিবেদনে ঘ্রাণশক্তি কমে আসাকেও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দাবি করেন গবেষকরা।

No comments:
Post a Comment