পুঁইয়ের পাতাসহ সমগ্র গাছে রয়েছে ভেষজ গুন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 30 June 2019

পুঁইয়ের পাতাসহ সমগ্র গাছে রয়েছে ভেষজ গুন

pui+sak
 এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুঁই গাছের পাতা ও ডাঁটা শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁই শাক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পুঁই বহুবর্ষজীবী উষ্ণমন্ডলীয় গাছ। এই গাছের চাষ পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, আসাম এবং ত্রিপুরায় সর্বত্র হয়ে থাকে।এটি নরম বহুশাখা যুক্ত উদ্ভিদ।এর মাংসল লতা দ্রুতবেগে দৈর্ঘে ১০ মিটার অবধি বাড়তে পারে। এর মোটা, অনেকটা রসালো, হরতন আকৃতির পাতাতে মৃদু সুগন্ধ আছে। পাতা মসৃণ, খানিকটা পিচ্ছিল ভাব আছে। বেগুনী ও সবুজ এই দু প্রকারের পুঁই শাক হয়ে থাকে। পুইয়ের ফুল সাদা অথবা লাল। ফল মটর দানার মতো। পাকা ফল বেগুনি রঙের। পুইয়ের পাতাসহ সমগ্র গাছ ভেষজ গুনাবলী সম্পন্ন।

 পাতা মুত্রকারক। গনোরিয়া রোগে এটি উপকারী। অর্শ রোগে অতিরিক্ত স্রাব, অতিসার প্রভৃতিতে অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে পুঁই শাকের ব্যবহার আছে। পুঁই শাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি, কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতিতে উপকার দেয়। পুইয়ের সবুজ পাতায় ক্লোরোফিলের প্রাচুর্যের কারনে এবং লাল পুইয়ের ডাঁটায় লাল জ্যান্থফিলের আধিক্যের জন্য এদের রঞ্জক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।

 পুঁইশাক সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছেই প্রিয়। পুঁইশাক অনেক গুণে গুণান্বিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। চলুন পুঁইশাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেই। গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শাক, বিশেষ করে আঁশজাতীয় শাক, যেমন পুঁই বা মিষ্টিকুমড়ার শাক খায়, তাদের পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।

 এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহায্য করে, চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলি ও কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। পুঁইশাকে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। তবে অনেকের পুঁইশাকে অ্যালার্জি আছে।পুঁইশাক ভাজা কিংবা ঝোল রান্না করা ছাড়াও যেকোনোও মাছের মাথা দিয়ে তরকারি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad