বিনোদন ডেস্ক: কথায় বলে, আক্কেল দাঁত না উঠলে নাকি মানুষের আক্কেল হয় না। কথাটার সত্যি-মিথ্যা জানা নেই। কিন্তু আক্কেল দাঁত ওঠার সময় ব্যথায় যে আমাদের আক্কেল গুড়ুম হয়ে যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্দিষ্ট একটা বয়সে এই দাঁত সবারই ওঠে। তবে ব্যথা সবার নাও হতে পারে। আর যার ব্যথা হয় সে বোঝে এর বিপদ কতোখানি। এই অবস্থায় কিছু বিষয়ে জেনে রাখা ভালো:
১. আক্কেল দাঁতের সমস্যা হলেই ভালো দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী আক্কেল দাঁত এর অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে।
২. ব্যথা হতে থাকলে সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধেই সেরে যায়। দাঁতে যদি ইনফেকশন হয় তবে চিকিৎকের দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তীব্র হলে সার্জারির মাধ্যমে দাঁতটি ফেলে দিতে পারেন।
৩. আবার অনেকে ব্যথা হলে ওষুধ খেয়েই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করেন। চিকিৎসাকে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু দাঁতটি যদি হাড় এর মধ্যে থেকে থাকে, তখন ইনফেকশন হয়ে হাড়ের ক্ষয় হতে হতে গলার কাছে ইনফেকশন চলে যেতে পারে। এটা খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে।
৪. আমাদের যদি সার্জারি করে দাঁত ফেলে দিতে হয় তবে কিছুদিন ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, হা করতে না পারা, শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হতে পারে। এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
৫. খেয়াল করুন যদি আক্কেল দাঁতের পাশের দাঁতে ক্যাভিটি হয়ে থাকে তবে আক্কেল দাঁত ফেলার পর ক্ষতস্থান শুকিয়ে গেলে পাশের দাঁতের চিকিৎসাও করাতে হবে।
৬. আক্কেল দাঁত তুলে ফেলা নিয়ে মতভেদ আছে। আর যদি তুলেই ফেলতে হয় তবে দক্ষ চিকিৎসককে দিয়ে তোলান। না হলে দাঁত ভেঙ্গে গিয়ে ভেতরে থেকে যেতে পারে। এটি স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ব্যথা বেশি হলে কি করবেন
আক্কেল দাঁত প্রতিরোধের কিছু নেই। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত সকালে ও রাতে খাওয়ার পর সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লবঙ্গ
লবঙ্গের তেল নরম কিছুতে লাগিয়ে নিন মাড়িতে লাগান। দিনে দুই থেকে তিনবার এই ব্যবস্থা নিন। এছাড়া দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ আক্কেল দাঁতের স্থানে রাখুন। লবঙ্গ দ্রুত আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমিয়ে দেবে।
রসুন
রসুনের বিভিন্ন গুণের কথা আমি জানি। দাঁত ব্যথা কমাতেও রসুনের জুড়ি নেই। এক কোয়া রসুন নিয়ে চিবিয়ে খান। চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগলে রসুনের কোয়া ব্যথায় আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরে রাখুন। আপনি চাইলে রসুন কুচি কুচি করে কেটে আক্রান্ত দাঁতে দিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন।
লবণ
লবণ আক্কেল দাঁতের মাড়ির ইনফ্লামেশন কমিয়ে ইনফেকশন দূর করে থাকে। এক চা চামচ লবণ এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এছাড়া সমপরিমাণ লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্টটি দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এটি দিনে দুই তিন বার করুন। ব্যথা দূর না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে আছে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল উপাদান যা দাঁতের ব্যথা, জীবাণু সব কমিয়ে দিতে পারে। পেঁয়াজ চিবিয়ে খেতে পারেন। তা না হলে ব্যথার স্থানে এক টুকরো পেঁয়াজ রেখে দিন, ব্যথা কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment