বিনোদন ডেস্ক:
ঘা হবার কারনঃ
১. যে কোনও প্রকার এসিডিক ফল খেলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন কমলা, লেবু, আনারস, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। তবে এগুলো খেলে যে এ রোগ হবেই এমনটা নয়। অনেক সময় এর গায়ে এক ধরনের পর্দা বা আবরণ থাকে যার কারণে এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
২. আমাদের মুখে এক ধরনে কোমল টিস্যু থাকে কোন কারণে এই টিসু ক্ষতিগ্রস্থ হলে এটি হবার সম্ভাবনা থাকে।
৩. যে কোন প্রকার মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গেলে এ রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
৪. সডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করলে এটি হবার সম্ভাবনা থাকে।
৫. যদি কোন খাবারে এলার্জি থাকে তবে এ রোগ হতে পারে।
৬. সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধূমপান করলে এটি হবার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।
কিভাবে ঠোঁটের ঘা সারিয়ে তোলা যায়:
১. তুলসি পাতা:
- এক মুঠো তুলসি পাতা
- ৪-৮ কাপ জল।
এবার এই জলের মধ্যে তুলসি পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। এবার পানি ছেকে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে নিন এবং ২ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
২. নারকেল তেল:
পরিস্কার আঙ্গুলে একটু নারকেল তেল নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান।আপনি ইচ্ছা করলে এর সাথে সামান্য মোম মিক্স করে লাগাতে পারেন।
৩. লবঙ্গ তেল:
- হাফ চা চামচ অলিভ অয়েল
- ১ টি লবঙ্গ গুড়ো
- কটন বল
- গরম জল
প্রথমে গরম জল নিয়ে ক্ষত স্থানে ভাব নিন। এরপর লবঙ্গ এবং অলিভ অয়েল একত্রে হাল্কা গরম করে ঠাণ্ডা করেও নিন। কটন বলে তেল নিয়ে ৫ মিনিট ক্ষত স্থানে লাগান।
৪. মধু:
আমরা সবাই মোটামুটি জানি যে মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়া থাকে। দিনে কমপক্ষে ৩ বার ক্ষত স্থানে মধু লাগান। এতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ হয়।
৫. অ্যালভেরা জেল:
- ১ টেবিল চামচ অ্যালভেরা জেল।
- ১ টেবিল চামচ জল।
দুটি উপাদান ভালভাবে মিক্স করে দিনে ৩ বার ক্ষত স্থানে লাগান। এতে ব্যাথা এবং জ্বালা ভাব কমে যাবে।
৫. উষ্ণ লবন জল:
- ১/৪ কাপ গরম জল
- ১/২ চা চামচ লবন
এটি ভালোভাবে মিক্স করে দিনে ২ বার ক্ষত স্থানে লাগান যতক্ষন পর্যন্ত সেরে না যায়।
টিপস
ক্ষত থাকা কালিন এসিডিক খাবার না খাওয়াই ভাল।
ক্ষত সারানোর জন্য উপরের উপাদানগুলো ট্রাই করুন।
ফ্রেশ টক দই খেতে পারেন।
ক্ষতে বেশি হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
No comments:
Post a Comment