তৃণমূলের কাটমানির রোষ এবার বিজেপিতে। বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ। পরে মারধর করে পার্টি অফিস থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় কর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার ঠাকুর নগর মিলন সংঘে। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
চারদিকে যখন কাটমানির রোষে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তখন বিজেপি নেতা পড়লেন কাটমানির রোষে। বিজেপির দাবি, এই ঘটনার আঁচ পৌঁছাতে পারে বিজেপির রাজ্য অফিস পর্যন্ত। বিজেপির দাবি, ঠাকুর নগর দিয়ে বিজেপির কাটমানি তোলাবাজি ঘটনার প্রতিবাদের খুঁটি পুজো হলো এদিন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সভাপতি ঘনিষ্ট নেতা এমনকি রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বও এমন কর্মী বিক্ষোভের শিকার হতে পারেন আগামীতে । সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার অভিযোগ করেছেন, রাতের অন্ধকারে বিজেপি নেতাদের টাকা ছড়ানোর বিষয়টি। বিজেপির কর্মীদের একাংশ দল বাঁচাতে তাই কাটমানি নেতাদের তাড়াতে প্রতিরোধে নামতে পারে বলে খবর। যদিও গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যে বিজেপির উঁচু তলায় পৌঁছেছে বলে খবর। এমন দাবি করেছেন সংঘ ঘনিষ্ট এক রাজ্য নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতার আরও দাবি, বিজেপির রাজ্য থেকে জেলা ঢেলে সাজানো হতে পারে আগষ্ট মাস থেকে। কারণ, বিজেপির রাজ্য নেতাদের অনেকের ওপর ক্ষুব্ধ প্রান্ত ( বাংলাকে দুভাগে ভাগ যথা উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ) ও ক্ষেত্রিয় প্রচারক(বাংলা,বিহার,ওড়িষা,সিকিম,মনিপুর ও আন্দামান )।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও বিজেপি সুত্রের খবর,
গাইঘাটা পূ্র্ব মন্ডলের বিজেপির ব্লক সভাপতি নিখিল বিশ্বাসকে ঘিরে কয়েক শো বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ মারধর করে পার্টি অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ।
অভিযোগ নিখিল বিশ্বাস সম্প্রতি তৃণমূলের ২৮জনকে বিজেপিতে যোগদান করায়। যার মধ্যে টাকা ছাপানো মেশিন সহ ধৃত তৃণমূলের নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত মেম্বার তপন রায় রয়েছে । তপন রায় বছর দেড়েক আগে গাইঘাটা থানার পুলিশ অফিসার অরিন্দম মুখোপাধ্যায় হাতেনাতে টাকা ছাপানোর মেশিন সমেত ধরে। পরে জামিন পেয়ে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদান করে।
অভিযোগ, নিখিল বিশ্বাস বিজেপির বিভিন্ন সভা করার নামে টাকা তোলে। এমনকি দলের খরচ থেকেও টাকা মারার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি সম্প্রতি তৃণমূলের কাটমানি নেওয়া অভিযুক্তদের বিজেপিতে যোগদান করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দাবি, নিখিল বিশ্বাস তৃণমূলের তোলাবাজ ও কাটমানি নেওয়ার পার্টনার।
সুটিয়া গণধর্ষণের অভিযুক্ত প্রভাষ ঢালির ঘনিষ্ট নিখিল বিশ্বাস বছর তিনেক আগে বিজেপিতে যোগ দেয়। বেশ কয়েকটি মামলা ছাড়াও অভিযুক্ত নিখিল জোড়া খুনের মামলায়ও নাম আছে। বিজেপিতে যোগদিয়ে বিজেপির বারাসত জেলা সভাপতি প্রদীপ ব্যানার্জির ছত্রছায়ায় থেকে পদ লাভ এবং বাড়বাড়ন্ত বলে জানা গেছে । বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বহুবার লিখিত অভিযোগ করা হলেও মুরুলিধর লেনের ক্ষমতাধরদের হাত করে নেয় নিখিল বিশ্বাস। স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীরা জানিয়েছে, তৃণমূলের কাটমানি তোলাবাজির সঙ্গী নিখিল রাজ্য নেতৃত্বের কতিপয়দের ভাগের অংশ দিতেন কিনা তার দলীয় তদন্ত করা উচিৎ।
বিজেপি সুত্রের খবর, এরপর বারাসত সাংগঠনিক জেলার দ্বায়িত্বে থাকা নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রেহে নেমেছে বিজেপির কর্মীদের একাংশ। প্রমাণ পাওয়ার পর দিল্লি নয় , সেই প্রমাণ দেখিয়ে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। নির্ভর যোগ্য সুত্রের আরও দাবি, আগামীতে স্টিং অপারেশনের ক্লিপিংস সামনে এলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা।
সবই তার ইচ্ছা
ReplyDelete