ফুটবল নিয়ে আমার স্বপ্নের চেয়ে বড় কথা বা বাস্তবতা হলো, আমাদের অনেক বেশি ইনস্টিটিউট খুব প্রয়োজন। একটা সময় ফুটবলেও কিন্তু সোনালি সময় ছিল, যা এখন ক্রিকেটে আছে। অনেক তারকা ফুটবলার আমাদের দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। আজকে ক্রিকেটারদের জন্য সময়, শ্রম ও অর্থ যেভাবে ব্যয় করা হয়, ফুটবলটাকেও সেভাবে যত্ন করতে হবে। মা–বাবাদের এখন বলতে শুনি, আমার ছেলে বড় হয়ে সাকিব আল হাসান, মাশরাফির মতো হবে। আমি নিশ্চিত যে নারী ফুটবলে আমরা যদি আইকনিক কোনো তারকা তৈরি করতে পারি, একসময় আমাদের বাবা–মায়েরা ফুটবলারদের উদাহরণও সামনে টেনে আনবেন। বড় বড় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেই হবে। সেটা শুধু যখন বড় বড় টুর্নামেন্ট হবে তখন নয়। দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করতে হবে। মেয়েরা যাতে তিন–চার মাস কিংবা পুরো বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, তেমন পরিকল্পনা করতে হবে। বড় বড় বিপণন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসুক। মেয়েরাও কিন্তু ভালো করছে। এদের পেছনে বিনিয়োগ করলে একটা সময় তারা ভালো জায়গায় যেতে পারবে। তৈরি হবে আইকন খেলোয়াড়। ক্রিকেটে সালমা খাতুনকে অনেকে চেনেন। ফুটবল বা খেলাধুলা শুধু একটা শখ নয়, এটা দিয়ে জীবিকাও নির্বাহ করা যায়—এই পেশাদারির ব্যাপারটায় আরও শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। শুটিং দিয়ে আমরা এখন জীবিকা নির্বাহ করতে পারি, অভিনয় করাটাকে পেশা হিসেবে নিতে পারি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক নারী খেলোয়াড়কে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন—এরা যাতে খেলে এগিয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিবেচনা করেছেন, অন্যদেরও ভাবতে হবে।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2ISJu3T
No comments:
Post a Comment