আর. কে. স্টুডিওতে পুরোনো সব হিন্দি ছবির পোস্টার দেখা যেত। ১৯৭০ সালের ‘মেরা নাম জোকার’ ছবির পুতুলগুলোও ছিল সেখানে। ১৯৫১ সালের ‘আওয়ারা’ ছবির ট্রাম্প শু-র মতো সিনেমার আরও নানা রকম কস্টিউম স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছিল হিন্দি ছবির প্রাচীন এই স্টুডিওতে। স্টুডিওটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশ আগেই। সম্প্রতি বিক্রি হয়ে গেছে কাপুর খান্দানের আর. কে. স্টুডিও। আজ শুক্রবার এই স্টুডিও কেনার ঘোষণা দিয়েছে গোদরেজ প্রপার্টিজ লিমিটেড।
২০১৮ সালে এই স্টুডিও বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একবার আগুন লেগে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্টুডিওর প্রধান শুটিং ফ্লোর। তখনই ঋষি কাপুর জানিয়েছিলেন, স্টুডিওটা আর রাখা যাচ্ছে না। এত বড় আর পুরোনো একটা জায়গাকে দশকের পর দশক কেবল স্মৃতি হিসেবে আগলে রাখা সহজ কথা? কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সংস্কার করলে টাকা উঠে আসবে? সেটাও সম্ভব নয়। ‘রাস্তার যে অবস্থা, ফিল্ম সিটি রেখে এখনকার অভিনেতারা স্টুডিওতে শুটিং করতে আসবেন না।’ বললেন রণধীর কাপুর। বুকে পাথর চেপে পূর্বপুরুষের এই সম্পদ তাই বেচেই দিলেন তাঁরা।
আর. কে. স্টুডিওটা ছিল ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা আরকে ফিল্মসের হেড কোয়ার্টার। ১৯৪৮ সালে এটি শুরু করেছিলেন রাজ কাপুর। ভারতবর্ষের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এই স্টুডিও থেকেই নির্মিত হয়েছে ‘আওয়ারা’, ‘শ্রী ৪২০ ’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘ববি’র মতো ছবিগুলো। এক বিবৃতিতে গোদরেজ প্রোপার্টিজ জানিয়েছে, প্রায় ৩৩ হাজার মিটারের এই জায়গায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপার্টমেন্ট ও অত্যাধুনিক সব সুবিধা।
জায়গাটি বিক্রি প্রসঙ্গে রণধীর কাপুর তেমন কিছু বলতে রাজি হননি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি এটুকুই বলেছেন, ‘আরও ৬ মাস আগে সব সেরে ফেলেছি। কাপুর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটা সম্পদ ছিল এটা।’
একসময় ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পের হর্তাকর্তা ছিল এই কাপুর গোষ্ঠী। তাঁদের স্টুডিওতে তখন বসত তারার হাট। ওই স্টুডিও থেকেই তৈরি হয়েছে কত কত সিনেমা, বেরিয়েছে কত তারকা। আজ সেটা চলে গেল ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2vBHXqb
No comments:
Post a Comment