যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক মিঠাপানির চিংড়িতে কোকেনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন। নদীর পানিতে রাসায়নিকের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করার সময় এটি আবিষ্কার করেন তারা।
গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল’ এ প্রকাশিত হয়। এই গবেষণার ফলে মিঠাপানির চিংড়ি গ্যামারাস পুলেক্সে (ইউরোপের বিভিন্ন নদীতে পাওয়া চিংড়ির প্রজাতি) দূষণের বিষয়টি সবার সামনে উন্মোচিত হয়।
এই গবেষণার জন্য লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা সাফোক অঞ্চলের ১৫টি স্থানের নদীর পানি পরীক্ষা করে দেখেন। গবেষকরা অ্যালডে, বক্স, ডেবেন, জিপিং এবং ওয়াভেনি নদীর পানির নমুনা পরীক্ষা করার জন্য নেন। গবেষণা কাজে সহায়তা দিয়েছে সাফোক ইউনিভার্সিটি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ১৫ টি স্থান থেকে নদীর পানি নেয়া হয়েছে প্রতিটিতেই কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া চিংড়িতে নিষিদ্ধ মাদক ক্যাটামিনেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা জানান, মিঠাপানির চিংড়িতে মাদক ছাড়াও নিষিদ্ধ কীটনাশকেরও উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
কিংস কলেজের ডক্টর লিও ব্যারন এটিকে বিস্ময়কর একটি আবিষ্কার বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শহর অঞ্চলে বিশেষ করে লন্ডনের মত স্থানে এধরনের দূষণের আশা করেছিলাম কিন্তু এরকম গ্রামীণ পরিবেশে এগুলোর উপস্থিতি অনাকাংখিত ছিল।’
সাফোক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর নিক বুরি জানান, জলজ প্রাণীর মধ্যে কোকেনের উপস্থিতি কেবল সাফোক অঞ্চলের জন্যই বড় ইস্যু না কি যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্যও এটি প্রযোজ্য তা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে গবেষণা করে দেখতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক(প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র অংশ) দূষণের কারণে বর্তমানে জনগণের সামনে যে চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে তার কারণে পরিবেশগত স্বাস্থ্য মানুষের অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
গবেষণায় অংশ নেয়া প্রফেসর নিক বুরি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর স্বাস্থ্যের উপর অদৃশ্য রাসায়নিক দূষণের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাজ্যে আরো গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2J8P2GF
No comments:
Post a Comment