মানুষ স্বভাবগতভাবেই সংগীতপ্রিয়। ছেলে-বুড়ো নির্বিশেষে সবার মধ্যেই কমবেশি প্রভাব ফেলে সঙ্গীত। মানবজীবনে সঙ্গীতের গুরুত্ব নিয়ে কবিরা যেমন ছন্দ রচনা করে গেছেন, একই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক মহলেও হয়েছে নানা গবেষণা। সম্প্রতি এ রকমই গবেষণা নিবন্ধে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। শিশুকালে মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সঙ্গীত। মায়েদের কণ্ঠে শিশুতোষ সঙ্গীতকে এত দিন শুধু স্নেহের উচ্ছ্বাস হিসেবে দেখেছে সবাই।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামির ফ্রস্ট স্কুল অব মিউজিকের মিউজিক থেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ও সহযোগী ডিন শ্যানন ডি লা ইতোইলের কাছে বিষয়টি আরও অনেক বেশি কিছু। তিনি বলেন, ‘আগের কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছিল, শিশুদের মধ্যে সঙ্গীত গ্রহণের ক্ষমতা সহজাত। আমার ইচ্ছা ছিল মায়ের মুখ নিঃসৃত সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শিশুর আচরণের সঙ্গে খেলনা, বই বা এ ধরনের বস্তু ব্যবহারের প্রতিক্রিয়াকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা।
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে শিশুতোষ সঙ্গীতের অর্থবহতাকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়াকে বোঝা।’ এ গবেষণা চালাতে গিয়েই মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন দৃঢ় করায় শিশুতোষ সঙ্গীতের ভূমিকা আবিষ্কার করে বসেন শ্যানন ডি লা ইতোইল। গবেষণার জন্য ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ৭০টি শিশুর নিজ নিজ মায়ের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের দৃশ্য ধারণ করেন তিনি।
প্রথম দিকে শ্যানন ডি লা ইতোইলের কাছে শিশুর মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষেত্রে মায়ের মুখ নিঃসৃত সঙ্গীতের প্রভাবকে খেলনা বা বইয়ের মতোই মনে হয়েছিল। কিন্তু এ সময় মায়েদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালাতে গিয়ে মূল পার্থক্যটা ধরতে পারলেন তিনি। কারণ শিশুতোষ গান গাওয়ার সময় মায়েরা শিশুদের মনোযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকেন। প্রত্যেক মা-ই চান, এ সময় শিশুও শুধু তার প্রতিই মনোযোগী থাকুক।
এ কারণে যখনই শিশুর মনোযোগ কোনো কারণে অন্যদিকে সরে যায়, মায়েরাও তখন সুর বা স্বরের মাধ্যমে বিষয়টিকে সমন্বয় করে নেন। এরপর বিষয়টিকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেন শ্যানন ডি লা ইতোইল। এবারের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রসবোত্তর শারীরিক ও মানসিক জটিলতা কাটানোর পর শিশুতোষ সঙ্গীতের মাধ্যমে মা ও শিশু দুজনেরই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়।
এসব সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শিশু তার মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি শিশুতোষ উত্তেজনা প্রশমনে সক্ষম হয়। একইভাবে মায়েরাও প্রসবোত্তর শারীরিক ও মানসিক জটিলতা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন পুরোপুরি। এছাড়া সদ্য মাতৃত্বের আনন্দ ও উত্তেজনা তো রয়েছেই। শ্যানন ডি লা ইতোইলের এ গবেষণার ফল নিবন্ধ আকারে প্রকাশ হয়েছে জার্নাল অব মিউজিক থেরাপিতে।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামির ফ্রস্ট স্কুল অব মিউজিকের মিউজিক থেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ও সহযোগী ডিন শ্যানন ডি লা ইতোইলের কাছে বিষয়টি আরও অনেক বেশি কিছু। তিনি বলেন, ‘আগের কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছিল, শিশুদের মধ্যে সঙ্গীত গ্রহণের ক্ষমতা সহজাত। আমার ইচ্ছা ছিল মায়ের মুখ নিঃসৃত সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শিশুর আচরণের সঙ্গে খেলনা, বই বা এ ধরনের বস্তু ব্যবহারের প্রতিক্রিয়াকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা।
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে শিশুতোষ সঙ্গীতের অর্থবহতাকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়াকে বোঝা।’ এ গবেষণা চালাতে গিয়েই মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন দৃঢ় করায় শিশুতোষ সঙ্গীতের ভূমিকা আবিষ্কার করে বসেন শ্যানন ডি লা ইতোইল। গবেষণার জন্য ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ৭০টি শিশুর নিজ নিজ মায়ের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের দৃশ্য ধারণ করেন তিনি।
প্রথম দিকে শ্যানন ডি লা ইতোইলের কাছে শিশুর মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষেত্রে মায়ের মুখ নিঃসৃত সঙ্গীতের প্রভাবকে খেলনা বা বইয়ের মতোই মনে হয়েছিল। কিন্তু এ সময় মায়েদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালাতে গিয়ে মূল পার্থক্যটা ধরতে পারলেন তিনি। কারণ শিশুতোষ গান গাওয়ার সময় মায়েরা শিশুদের মনোযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকেন। প্রত্যেক মা-ই চান, এ সময় শিশুও শুধু তার প্রতিই মনোযোগী থাকুক।
এ কারণে যখনই শিশুর মনোযোগ কোনো কারণে অন্যদিকে সরে যায়, মায়েরাও তখন সুর বা স্বরের মাধ্যমে বিষয়টিকে সমন্বয় করে নেন। এরপর বিষয়টিকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেন শ্যানন ডি লা ইতোইল। এবারের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রসবোত্তর শারীরিক ও মানসিক জটিলতা কাটানোর পর শিশুতোষ সঙ্গীতের মাধ্যমে মা ও শিশু দুজনেরই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়।
এসব সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শিশু তার মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি শিশুতোষ উত্তেজনা প্রশমনে সক্ষম হয়। একইভাবে মায়েরাও প্রসবোত্তর শারীরিক ও মানসিক জটিলতা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন পুরোপুরি। এছাড়া সদ্য মাতৃত্বের আনন্দ ও উত্তেজনা তো রয়েছেই। শ্যানন ডি লা ইতোইলের এ গবেষণার ফল নিবন্ধ আকারে প্রকাশ হয়েছে জার্নাল অব মিউজিক থেরাপিতে।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2PJYvWi
No comments:
Post a Comment