ফুলশয্যার রাত বা বাসর রাত নিয়ে বাঙালি সমাজে রয়েছে নানা রেওয়াজ। বিবাহে ফুলশয্যার রাতের এসব রেওয়াজের মধ্যে কয়েকটি মজার, কয়েকটি আবার দুর্ভাগ্যজনক, অপমানজনক!
১. বাঙালিদের মধ্যে প্রচলিত আছে কালরাত্রি। বিয়ের পরের রাতে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে একঘরে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকী, তাঁরা যাতে একে অপরের মুখ না দেখতে পান, সেটিও চেষ্টা করা হয়।
২. ফুল দিয়ে পাত্র-পাত্রীর বিছানা সাজানো। বলা হয়, এতে নাকি রোম্যান্টিকতা বাড়ে!
৩. ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু বিবাহে প্রচলিত একটি রীতি। ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রী দু’জনেই কেশর মেশানো এক গ্লাস দুধ পান করেন। বলা হয়, এটিই নাকি বাকি রাতের জন্য তাঁদের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করবে। কী জন্য এনার্জির প্রয়োজন, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. এখনও বেশ কিছু ভারতীয় বিবাহে এই রেওয়াজ প্রচলিত আছে। ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রীর জন্য তাঁদের ঘরে দু’টি মিষ্টি পান রাখা থাকে। বলা হয়, পান নাকি তাঁদের মাউথফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে।
৫. অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক রেওয়াজ হলেও এই রীতিটি এখনও প্রচলিত রয়েছে কিছু পরিবারে। বিয়ের আগে সেক্স নিয়ে এখনও ভারতীয় সমাজে যথেষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে। আর নিজের বৌমার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য নাকি অনেক শাশুড়িই ফুলশয্যার পরের দিন সকালে চুপি চুপি পাত্র-পাত্রীর ঘরে ঢুকে বিছানার রক্তের দাগ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। কারণ, বৌমা কুমারী হলে ফুলশয্যার রাতে শারীরিক মিলনের পরে বিছানায় রক্তের দাগ থাকতে পারে। একজন মহিলার পক্ষে এই রেওয়াজ অত্যন্ত অপমানজনক।
৬. আরও চমকে দেওয়ার মতো রেওয়াজও রয়েছে। অনেক শাশুড়িই নাকি চাদরে রক্তের দাগ দেখলে সেটিকে ধোয়ার আগে পুজো করেন। কিন্তু রক্তের দাগ না থাকলেই কী নতুন বিবাহিত বৌমার কুমারীত্ব থাকে না? আর ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলন না হলেই বা শাশুড়িরা বোঝেন কী করে?
১. বাঙালিদের মধ্যে প্রচলিত আছে কালরাত্রি। বিয়ের পরের রাতে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে একঘরে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকী, তাঁরা যাতে একে অপরের মুখ না দেখতে পান, সেটিও চেষ্টা করা হয়।
২. ফুল দিয়ে পাত্র-পাত্রীর বিছানা সাজানো। বলা হয়, এতে নাকি রোম্যান্টিকতা বাড়ে!
৩. ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু বিবাহে প্রচলিত একটি রীতি। ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রী দু’জনেই কেশর মেশানো এক গ্লাস দুধ পান করেন। বলা হয়, এটিই নাকি বাকি রাতের জন্য তাঁদের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করবে। কী জন্য এনার্জির প্রয়োজন, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. এখনও বেশ কিছু ভারতীয় বিবাহে এই রেওয়াজ প্রচলিত আছে। ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রীর জন্য তাঁদের ঘরে দু’টি মিষ্টি পান রাখা থাকে। বলা হয়, পান নাকি তাঁদের মাউথফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে।
৫. অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক রেওয়াজ হলেও এই রীতিটি এখনও প্রচলিত রয়েছে কিছু পরিবারে। বিয়ের আগে সেক্স নিয়ে এখনও ভারতীয় সমাজে যথেষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে। আর নিজের বৌমার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য নাকি অনেক শাশুড়িই ফুলশয্যার পরের দিন সকালে চুপি চুপি পাত্র-পাত্রীর ঘরে ঢুকে বিছানার রক্তের দাগ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। কারণ, বৌমা কুমারী হলে ফুলশয্যার রাতে শারীরিক মিলনের পরে বিছানায় রক্তের দাগ থাকতে পারে। একজন মহিলার পক্ষে এই রেওয়াজ অত্যন্ত অপমানজনক।
৬. আরও চমকে দেওয়ার মতো রেওয়াজও রয়েছে। অনেক শাশুড়িই নাকি চাদরে রক্তের দাগ দেখলে সেটিকে ধোয়ার আগে পুজো করেন। কিন্তু রক্তের দাগ না থাকলেই কী নতুন বিবাহিত বৌমার কুমারীত্ব থাকে না? আর ফুলশয্যার রাতে পাত্র-পাত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলন না হলেই বা শাশুড়িরা বোঝেন কী করে?
from মিস বাংলা http://bit.ly/2URcdaE
No comments:
Post a Comment