চিকিৎসকরা জানান, সাধারণত স্থূল নারীরা অল্প কাজেই দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন বলে শারীরিক কাজে তারা কম সময় দেন। এতে তাদের এক প্রকার আলসেমি পেয়ে বসে। তাদের অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের জন্য হীনম্মন্যতায় ভোগেন। অনেকে মানসিক চাপের শিকার হন। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, বর্তমানে গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীরা প্রচুর উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাচ্ছেন।
কর্মব্যস্ত জীবনে মায়েরা এখন সময়ের অভাবে সন্তানের স্কুলের টিফিন তৈরির সুযোগ পান না। আর টিফিনের জন্য তারা রেস্টুরেন্ট থেকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার কিনছেন। এ ছাড়া সন্তানের স্কুল ছুটির অপেক্ষায় বাইরে থেকে অন্য অভিভাবকদের সঙ্গেও এই মায়েরা অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার কিনে খাচ্ছেন। কিন্তু তারা যে হারে উচ্চ ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন সে অনুপাতে শারীরিক পরিশ্রম করছেন না। আর এই খাবারগুলোর প্রভাবে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে তারা স্থূল হয়ে পড়ছেন। শারীরিক সুস্থতার জন্য তাদের কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম ও হাঁটার অভ্যাসও করতে হবে। চিকিৎসকরা জানান, ফাস্ট ফুডের প্রভাবে অতিরিক্ত ওজন ও শারীরিক স্থূলতার কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনিরোগ, হাইপার টেনশন, স্ট্রোক এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
পুষ্টিবিদরা জানান, পিজ্জা, পাস্তা ও বার্গারের মতো ফাস্ট ফুড বা প্রক্রিয়জাত খাবার নগরবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে উচ্চ মাত্রার চর্বি (স্যাচুরেটেড ফ্যাট), উচ্চমাত্রার ক্যালরি, চিনি ও লবণ থাকে। কম পরিশ্রম ও অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, মনোযোগের অভাব, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শহুরে নারীদের এক বড় অংশ সুখের অসুখে ভুগছেন। কায়িক পরিশ্রমবিমুখ আয়েশি জীবনযাপন তাদের শরীরে নানা ধরনের অসুখের বিস্তার ঘটাচ্ছে। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও মেডিটেশন এবং কর্মময় জীবনযাপনই তাদের ৭০ ভাগ রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2Y2ogUv
No comments:
Post a Comment