সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ বৃহস্পতিবার দেশ-বিদেশের প্রায় আট হাজার আমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে তিনি শপথগ্রহণ করবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাভাবিকভাবেই রাজকীয় জাঁকজমকে শপথ অনুষ্ঠান হবে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে। বরাবরের ন্যায় এবারও এত বিপুল সংখ্যক অতিথিদের জন্য থাকছে খাবারের বিশেষ আয়োজন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। অতিথিদের পরিবেশন করা হবে ‘হাই-টি’। এতে থাকছে লেমন টার্ট। সঙ্গে পরিবেশন করা হবে হরেক রকম স্যান্ডুইচ, সমুচা, পনির দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস, মিষ্টি ও রাজভোগ।
এ ছাড়া থাকবে লেমন করিয়েন্ডর স্যুপও। নৈশ ভোজে থাকবে নিরামিষ-আমিষ দুধরনের পদই। নিরামিষে প্রাধান্য থাকবে গুজরাটি খাবারের। থাকছে দক্ষিণ ভারতীয় পদও।
আর নৈশভোজের আতিথ্য করবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নৈশভোজে থাকবে একাধিক স্পেশাল ডিশ। গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সিগনেচার পদ ‘ডাল রাইসিনা’। এবারও অতিথিদের থালায় প্রধান পদ হতে চলেছে এটি— অড়হর ডাল, টমাটো পিউরির সঙ্গে জাফরান দিয়ে যা বানাতে সময় লাগে আট ঘণ্টা।
এই পদ রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা শেফ মাচিন্দ্র কস্তুরে,যার রান্না চেটেপুটে খেয়ে প্রশংসা করে গিয়েছিলেন বারাক ওবামাও।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানানো হচ্ছে,২০১৪ সালে বিকেল ৪টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। পানির যথেষ্ট বন্দোবস্ত না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এবারে তাই সময় পিছিয়ে সন্ধ্যা ৭টা করা হয়েছে। আগের বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি পানির বোতল রাখা হবে। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলতে পারে অনুষ্ঠান।
দরবার হলের বাইরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে এর আগে শপথ নিয়েছেন নেহরু এবং চন্দ্রশেখর। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ীও বাইরেই শপথ নিয়েছিলেন। দরবার হলে মাত্র ৫০০ লোক ধরে বলে অনুষ্ঠান বাইরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের মতোই এবারও রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে হবে অনুষ্ঠান। আগেরবার এখানে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ হাজার অতিথি। তবে এবার সংখ্যাটা বেড়েছে।
from ap bangla | অ্যানালিটিক্যাল প্রেস | Analytical Press | http://bit.ly/2Ke3Q7i
No comments:
Post a Comment