বিনোদন ডেস্ক: ও যে ভার্জিন নয়, ওর সব গুপ্তধন অন্যেও পেয়েছে...!
প্রেমিক প্রেমিকার অতীত জীবনের অভিজ্ঞতা অনেক সময় নষ্ট করতে পারে তাঁদের বর্তমান সম্পর্ক। এমনই এক সমস্যা নিয়ে মনোবিদের কাছে চিঠি পাঠালেন এক যুবক।
যুবকের প্রশ্নটি ছিল এমন- গত ৮-৯ মাস যাবত এক যুবতীর প্রেমে পড়েছি। ঘনিষ্ঠতা বাড়লে আমাদের মধ্যে শরীরী সম্পর্ক তৈরি হয়। যৌনতার নানান বিভঙ্গে প্রেমিকা আমায় মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে, ওরাল সেক্সে তার পারদর্শিতা বিস্ময়কর। প্রথম যেদিন সেই সুখানুভূতি উপভোগ করি, অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, 'কোথা থেকে এই যৌনবিদ্যা শিখলে?'
জবাবে সে জানায়, পর্নোগ্রাফিক ভিডিও থেকেই ওরাল সেক্সের খুঁটিনাটি সে রপ্ত করেছে। যদিও সে কথা আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করিনি। পরে আরও একদিন এমন যৌনসুখ উপভোগ করার পরে একই প্রশ্ন করলে অনেক পীড়াপিড়ি করায় সে জানায়, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে এই যৌনাচারে তার হাতেখড়ি হয়। তার সঙ্গে একাধিক বার ওরাল সেক্স করার ফলেই বিষয়টিতে সে দক্ষ হয়ে উঠেছে।
এই কথা শোনার পর থেকেই প্রেমিকার প্রতি আমার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সে এমন যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছিল। একদিকে তার সঙ্গে যৌনসুখের অভিজ্ঞতা, অন্য দিকে ভিন্ন পুরুষের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা আমায় কুরে কুরে খাচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমার প্রেমিকা হয়তো অন্য পুরুষদের কাছে খুবই সহজলভ্য। আবার তাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি বলে সম্পর্ক ছিন্ন করতেও বাধছে। দয়া করে এই মানসিক বিভ্রান্তির হাত থেকে আমায় মুক্তি দিন।
মুম্বাইয়ের ফোর্টিস নেটওয়ার্ক হাসপাতালের মনোবিদ কেদার তিলওয়ে যুবকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন- জেনে ভালো লাগছে যে এমন কাউকে জীবনে খুঁজে পেয়েছেন যিনি আপনাকে সর্বোচ্চ শারীরিক তৃপ্তি দিতে পেরেছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, শারীরিক সুখই প্রেমের সম্পর্কের শেষ কথা নয়।
সন্দেহের বিষ দ্বিচারিতার তুলনায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে অনেক বেশি ক্ষতি করে। আমার পরামর্শ, মনের মধ্যে যা চিন্তা-ভাবনা তৈরি হচ্ছে, প্রেমিকাকে তা অকপটে বলুন। ওঁর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বললে আপনারক মানসিক দ্বন্দ্ব দূর হবে। পরস্পরকে বুঝতেও সুবিধে হবে। তবে এতেও সমাধান না মিললে কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য চাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অথবা, দাম্পত্য সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে পারেন।
No comments:
Post a Comment