বিনোদন ডেস্ক: সহজলভ্য প্রেমে এখন বইছে খোলা হাওয়া। দুইদিনের সম্পর্কে প্রেম আবার তৃতীয় দিনে বিচ্ছেদ এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। প্রেম যেন এখন সবচেয়ে সস্তা পন্য, চাইলেই পাওয়া যায়। আর প্রেম ভাঙ্গা, সে তো কোন ব্যাপারই না। প্রেম ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে ছেলেদের উপরে। কিন্তু ‘যতদোষ নন্দঘোষ’ এই ধারনার বাইরে বেরুলে দেখা যায় সম্পর্ক ভাঙ্গার ক্ষেত্রে মেয়েরাও কম যায়না। ঠিক কী কারণে বাঙালি মেয়েরা প্রেম ভেঙ্গে দিচ্ছে কিংবা প্রেমে প্রতারণা করছে? জেনে নিন কিছু চমকপ্রদ তথ্য-
১. সহজলভ্যতা- মনোবিদরা জানান, এই মুহূর্তে বাঙালি সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যাই হল সহজলভ্যতার ধারণা। অনেক কিছুর মতো সম্পর্কও এখন অনেক সহজলভ্য বলে মনে করেন অনেকেই। একটু-আধটু চেষ্টা করতে পারলেই যেন মিলে যায় সব সমস্যার সহজ সমাধান। এই মানসিকতা ঢুকে পড়েছে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। পার্টটাইম সম্পর্ক থেকে শুরু করে পুরোদস্তুর পরকীয়া, এ সমাজে মেলে সবই। সহজে।
২. ইগো বা আত্মাভিমান- বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের ইগো-কোশেন্ট পুরুষদের তুলনায় কিঞ্চিৎ বেশিই। বাঙালি মহিলারা স্বভাবগতভাবে একটু অভিমানী হয়ে থাকেন। ফলে, কোনও সম্পর্কে যদি ইগো’য় আঘাত লাগে, তা হলে তাঁরা সেই সম্পর্কে টিকে থাকতে চান না। এসব ক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়া বা সঙ্গীকে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু সম্পর্ক ছাড়লেই প্রতারণা। বা, অনেক ক্ষেত্রে ইগোয় আঘাত লাগলে ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে প্রতারণাকেই বেছে নেন।
৩. আরও চাই- নদীর এপার আর ওপারের ব্যাপারটা অনস্বীকার্য। সঙ্গীর থেকে সঙ্গীর বন্ধু বা বস্ অনেক সময়ে বেশি আকর্ষণ করেন। নিট ফল— প্রতারণা।
৪. সম্পর্কে তিক্ততা- মনোবিদরা বলেন, আজকাল বাঙালি সমাজে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটাই অনেক কমে গিয়েছে। কারণ হিসেবে তাঁরা মূলত দাঁড় করাচ্ছেন কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়কে। কেরিয়ারের ঝক্কি সামলে সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলির যত্ন নেওয়ার সময় কোথায়? এক্ষেত্রেও মহিলারা সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে প্রতারণার রাস্তাই বেছে নিচ্ছেন।
৫. পঞ্চম কারণটি চতুর্থ কারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেরিয়ারে আকাশ ছুঁতে অনেক মহিলাই প্রতারণা করছেন তাঁদের প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তির প্রতি প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে।
৬. তবে সবথেকে মারাত্মক ট্রেন্ডটি দেখা দিয়েছে হালফিলে। স্রেফ মজার জন্য মন নিয়ে খেলার প্রবণতা। মনোবিদরা বলছেন, এটা এক ধরনের মানসিক বিকার। অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ পাওয়া।
No comments:
Post a Comment