বিনোদন ডেস্ক: শাহরুখ আর সলমনকে এক পর্দায় কে না দেখতে চান। এখন যদি দুজনকে একই ছবিতে দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেওয়া হয়, তো ইতিহাস ঘটে যাবে। অথচ 'করন-অর্জুন' ছবির মাধ্যমে সেই ঘটনা তো কবেই ঘটেছিল। যদিও তখন তারা এতটা বড় তারকা হয়ে ওঠেননি এখন যেমন। মুক্তি পাওয়া মাত্রই বক্স অফিসে আড়োলন তোলে এ ছবি।
আজ ২৩ বছর পরও সেই ছবির আবেদন এতটুকু কমেনি। 'করন-অর্জুন' নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। এখানে এর সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো, বাজি ধরে বলা যায়, তার অনেক কিছুই আপনি জানেন না।
১. অদ্ভুত বিষয় হলো, এ ছবির দুই চরিত্রে পরিচালক রাকেশ রোশন প্রথমে সলমন ও শাহরুখের কথাই চিন্তাই করেননি। অজন দেবগণ এবং সানির কথা ভেবেছিলেন। সম্ভবত সালমানের ভূমিকায় অজয় থাকতেন। ছবির নামও প্রাথমিক অবস্থায় ঠিক করা হয়েছিল 'কায়ানাত'।
২. শাহরুখ ছবিতে করনের চরিত্র পেয়ে যানপরনাই খুশি ছিলেন। কিন্তু করনের চরিত্র বাছাই করতে শাহরুখের সিদ্ধান্ত পছন্দ ছিল না রাকেশের। এই ঝামেলায় চলে যান অজয়।
৩. অজয় চলে যাওয়ার পর প্রায় বাতিলের খাতায় চলে যায় ছবিটি। শাহরুখও চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় রাকেশকে গ্যাঁড়াকল থেকে বের করতে এগিয়ে আসেন সালমান।
৪. এই ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন হৃতিক রোশন। ১৯৯৫ সালে এটি হিট ছবির তালিকায় দ্বিতীয়তে ছিল।
৫. ছবিতে শাহরুখের নায়িকা হিসেবে এসেছিলেন জুহি চাওলা। কিন্তু কাজলকে সেখানে আনার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। এমনকি মমতা কুলকার্নিরও আসার কথা ছিল না। সালমানের নায়িকা হিসেবে ভাবা হয়েছিল নাগমাকে।
৬. ছবি বানানো আগে গল্পটি স্বপ্নে দেখেছিলেন রাকেশ, এমনটাই বলা হয়। আমির খানকেও এ ছবিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
৭. গোটা ছবির শুট হয়েছে রাজস্থানে। আলওয়ার ডিস্ট্রিক্টের ভানগার্থ গ্রামে শুটিং হয়।
৮. দুর্গা দেবীর যে মন্দিরে করন-অর্জুনকে পূজা করতে দেখা যায় তার অবস্থান আজমিরের কাছাকাছি পুস্কারে।
৯. এ ছবি নিয়ে নস্টালজিয়াতে ভোগেন হৃতিক। বলেন, আমার সব মনে আছে। যেখানে শুট হয়েছে তার কথা মনে আছে। সালমান ও শাহরুখ নাখোশ হয়েছিলেন যে কারণে তার কথা মনে আছে, শুটিং স্পট নিয়ে দুজনের মনের সংশয়ের কথা মনে আছে। কিন্তু ছবিটি দেখার পর দুজনই বাবাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক তা তখনই বেরিয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment