Now. খারাপ স্বামীদের চিনে নেওয়ার ৭ টি লক্ষণ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 4 May 2019

Now. খারাপ স্বামীদের চিনে নেওয়ার ৭ টি লক্ষণ


বিনোদন ডেস্ক: আদর্শ স্বামী বলে কিছু হয় না – এ কথা সকলেই জানে। কিন্তু, সাধারণ দোষত্রুটি এবং পদে পদে ইচ্ছাকৃত খোঁচা দেবার মধ্যে একটা গুরুতর প্রভেদ আছে। ফ্যামিলি শেয়ার এর সুইলি বুরিয়াস্কো খারাপ স্বামীদের এই সাতটি সাধারণ লক্ষ্মণ খুঁজে বার করেছেনঃ-

১। তারা হয় ঈর্ষাকাতর এবং সন্দেহপ্রবণ

একজন পুরুষ যখন তার স্ত্রী কে অবিশ্বাস করতে শুরু করে, তখন সে সর্বদাই স্ত্রীর প্রতিটি আচরণে ঈর্ষাকাতর আর সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে” তিনি বলেন, “এই ধরণের স্বামীরা চায় যে স্ত্রীরা তাদের যাবতীয় স্বপ্ন, পেশা, ব্যক্তিগত-জীবন এবং স্বাধীনতা যেন বিসর্জন দেয় যাতে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে।

২। তারা হয় শীতল এবং অমনোযোগী

এ জাতীয় স্বামীরা স্ত্রীকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেয় না। সে স্ত্রীর অনুভুতির বিন্দুমাত্র পরোয়া করে না, তার আশা আকাঙ্খা বোঝা তো দূরের ব্যাপার! তারা স্ত্রীদের গুণের কদর না করে এক স্বার্থপরের মতো বাঁচে যার ফলে স্ত্রী টি নিজেকে বাতিল এবং একাকী বলে মনে করে।

৩। তারা হয় চরম সমালোচক

তাদের স্ত্রী’দের কোনো কাজই যথেষ্ট ভাল নয়। এই ধরনের স্বামী সবসময় সমালোচনা এবং অভিযোগ করার কিছু না কিছু খুঁজে পাবে, কারণ সে সবকিছু শুধুমাত্র নেতিবাচক ভাবে দেখে। সে তার নিজের ভুলের দায়িত্ব নে্য না আর সর্বদা তার স্ত্রীকে দোষারোপ করে।

৪। তারা পর্ণোগ্রাফি দেখতে ভালোবাসে

এটি স্ত্রীর প্রতি অসম্মানজনক, দাম্পত্য সম্পর্কে অঙ্গীকারের অভাব এবং চরিত্রহীনতা নির্দেশ করে।

৫। তারা অসভ্য এবং অভদ্র

মন্দ স্বামীরা কটুভাষী হয়। তারা সর্বদাই রেগে থাকে আর রুক্ষ-কর্কশ ব্যবহার করে, আরও নিকৃষ্ট এটাই যে তারা উগ্র এবং ঝগড়ুটে হয়।

৬। তারা সহযোগিতা করে না

কেউ কেউ পারিবারিক আয়ের জন্য কিছু করে না, আবার কেউ বিশ্বাস করে যে অর্থোপার্জন করে আনার মাধ্যমেই তারা সবকিছু করে ফেলেছে। এই মনোভাবের ফল এমন এক স্বামী যে কেদারায় আধশোয়া হয়ে টেলিভিশন দেখে বা বন্ধুদের সাথে বাইরে আড্ডা মারে, গৃহকর্ম বা শিশুপালনের মতো বিরক্তিকর কাজে তার স্ত্রীকে সাহায্য করতে তাদের বয়েই গেছে।

৭। তারা মিথ্যাচার এবং অবিশ্বস্ততা লালন করে

সুইলি বলেন যে এই ধরণের স্বামীরা সত্যকে ভালভাবে নেয় না। এই স্বামীরা শুধু যে সাদা, কালো বা উভয় প্রকার মিথ্যাচারের বিশেষজ্ঞ তা নয়, তাঁর মতে এরা অপরিণতও! “স্ত্রী এবং পরিবার যে প্রতিটি পুরুষের প্রকৃত সুখী হবার ভিত্তি – এই স্বীকৃতি এরা দেয় না। এ জাতীয় পুরুষদের স্ত্রীরা অরক্ষিত, অসুখী এবং অসন্তুষ্ট হয়েই জীবন কাটায়।”

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad