একটা সময় পরিবর্তন চেয়েছিলাম এবং এখনও বিশ্বাস করি সেই সময় সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এখন মনে হয়– পরিবর্তন হয়নি, সিপিএম যা করত তৃণমূলও তাই করছে। মানুষ তো পালটাবার চেষ্টা করবেই। কে ভাল আর কে মন্দ সেটা আগে থেকে বোঝ যায় না। নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ পরের জমানাতেও প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কিছু মানুষ আর সেটা করছেন না। তাঁরা সিপিএম আমলে প্রতিবাদ করেছে তারপর এই আমলে এসে সরকারি নানা পদে ভিড়ে গিয়েছেন। ফলে অনেক প্রতিবাদীকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু বিদ্বজন নয়, সাধারণ মানুষও অনেকে চুপ! সব দায়িত্ব বিদ্বজনদের হতে পারে না। বিদ্বজনরা সংখ্যায় কজন? তার চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ মানুষ। সবাই দেখছে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। খারাপ অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও মানুষ মমতা ব্যানার্জীকে ভোট দিচ্ছে! এভাবেই সিপিএম ভোটে জিতত। এমন তো নয় যে, ২০০৭ সালে এসে সিপিএম অন্যায় করেছিল। তার আগেও অনেক অন্যায় করেছিল। তবু মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে। সিপিএম শুধু ছাপ্পা ভোটে জেতেনি। সিপিএম বৈধ ভোটেই জিতত। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটছে। মানুষের সেই নৈতিক জায়গাটা আর নেই। ভোট দিতে গিয়ে কেউ মারা গেলে মানুষ সেটা মনে রাখছে না। মানুষ মনে করছে আমি তো মরিনি। আমি কন্যাশ্রী পাচ্ছি। আমি তৃণমূলকেই দেব। এই মোহ ভাঙতে সময় লাগবে।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2IMNeDO
No comments:
Post a Comment