বাঙালি পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাঙালির প্রেমের এপিটোম স্বয়ং কৃষ্ণ ঠাকুর পর্যন্ত রাধার সঙ্গে পরকীয়াতেই মজেছিলেন। আর বউদি বা বয়সে কিঞ্চিৎ বড় পরস্ত্রীদের নিয়ে বাঙালি যুবকদের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির কথা তো বিশ্বসুদ্ধু লোক জানে। তো প্রশ্ন হল, এই জাতীয় বউদি-প্রেমের কি বেনিফিট আছে কোনও? আলবাৎ আছে। আসুন, সেরকম গোটা কয়েক সুবিধার কথা জানিয়ে রাখা যাক বঙ্গযুবককুলের কানে কানে—
১. বউদিদের সঙ্গে প্রেম করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, অ্যাডভেঞ্চারের মজা। এই প্রেমকে সমাজ স্বীকার করে না। আর যা নিষিদ্ধ তার আনন্দই আলাদা।
২. মনে রাখবেন, প্রেমকলায় বউদিরা আপনার চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাঁদের সঙ্গে প্রেম করার অর্থ, তাঁদের সেই অভিজ্ঞতার অংশীদার হওয়া।
৩. দায়হীন প্রেম কি আপনার পছন্দ? তাহলে বউদিরাই হতে পারেন আপনার আদর্শ প্রেমিকা। এই সম্পর্কের কোনও পরিণতি নেই, কাজেই দায়ও নেই।
৪. প্রেমও করবেন, আবার প্রেমিকার পিছনে সময় দিতেও আপনার আপত্তি? বউদিদের গলায় ঝুলুন। দাদার জন্য কিছুটা সময় তো বরাদ্দ রাখতে হয়ই বউদিকে। কাজেই আপনার ভাগে তাঁর সময় কমবে।
৫. মোটা হয়ে যাচ্ছেন? বউদিদের সঙ্গে পরকীয়ায় মজুন। ধরুন, ‘দাদা’র (মানে বউদির হাজব্যান্ড আর কি) অনুপস্থিতিতে বউদির ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে লীলাখেলা করছেন। আচমকা অফিস থেকে দাদা এসে হাজির। প্রাণ বাঁচাতে চোঁ চাঁ দৌড় তো মারতেই হবে আপনাকে। প্রাণ খুলে দৌড়ন, মেদ ঝরে যাবে।
৬. অভিনয় করতে ভালবাসেন, অথচ ফিল্মে চান্স পাচ্ছেন না? বউদির সঙ্গে প্রেম শুরু করে দিন। প্রেম করতে গিয়ে কারোর না কারোর হাতে ধরা পড়বেনই। আর ধরা পড়লেই বউদির মাসতুতো ভাই সাজার অভিনয় স্টার্ট।
৭. বউদিরা কিন্তু নিজের বিবাহিত জীবনের নানা অভাব আর অতৃপ্তির কথা মাঝেমধ্যেই আপনার কানের কাছে প্যান প্যান করবেন। তাতে সুবিধে হবে এই যে, বিয়ের পর নিজের বউয়ের প্যানপ্যানানি ধৈর্যসহকারে শোনার একটা ট্রেনিং আপনার হয়ে থাকবে।
বউদিদের সঙ্গে প্রেমের সুবিধাগুলো এখানে বলে রাখা হল মাত্র। তার মানে এই নয় যে, আপনাকে হাঁই হাঁই করে বউদির পিছনে দৌড়নোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। লোকলজ্জা, নৈতিক দায়িত্ব, গণপিটুনির ভয়— সব কাঁটাতার পেরিয়ে বউদির প্রেমে মজার ধক যদি আপনার থাকে, তাহলে আর ভয় কী— দুগ্গা দুগ্গা বলে এগিয়ে যান।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2Wn9188
No comments:
Post a Comment