
বাল্যবিবাহ বন্ধ করলো হাসনাবাদের পুলিশ প্রশাসন । হাসনাবাদ এ চাইল্ড লাইনের খবর যায় হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত ঘুনি চকপাটলি গ্রামের মমতা খাতুন 17 বছর পাঁচ মাস বয়সের মেয়েকে তার বাবা মা বিয়ে দিচ্ছে, এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসনাবাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজার প্রণব মুখোপাধ্যায় কে জানায় তারপর চাইল্ড লাইনের কুদ্দুস গাজী ,রমা দাস (মিত্রের) সহযোগিতায় হাসনাবাদ থানার পুলিশ ও বিডিও অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের রান্নাবান্না চলছিল তখন আত্মীয়-স্বজন বাড়ি ভর্তি।গ্রামের লোক একে একে নিমন্ত্রণ খেতে আসছে,সেই সময় বিডিও অফিসের ডাটা ম্যানেজার প্রণব বাবু মেয়ের বাবা-মাকে বোঝায় যে মেয়ে 18। বছর না হলে বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ তাই এই বিয়ে বন্ধ করতে হবে। মেয়ের যখন 18 বছর হবে তারপর আপনি মেয়েকে বিয়ে দেবেন অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে হতদরিদ্র মেয়ের বাবা মুচলেখা দিয়ে বলেন মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হলে বিয়ে দেব না । ভিডিও অফিসের আধিকারিকরা মেয়ে ও মেয়ের মাকে বলেন আঠারো বছর বয়স হলে তুমি কন্যাশ্রী 25 হাজার টাকা পাবে, বিয়ের সময় রুপশ্রীর 25 হাজার টাকা পাবে সরকার তোমাদেরকে এত সুবিধা দিচ্ছে তা সত্ত্বেও তুমি বিয়েতে কেন রাজি হলে ।বলে আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছিল বরুনহাট এর এক ছেলের সঙ্গে ,আমি পড়তে চাই আমি পাশের গ্রামে হাই স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ি। শেষ পর্যন্ত বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হলো প্রণব বাবু আরো বলেন গ্রামের মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় মেয়ের বাবা-মা তার পরে সেই মেয়েদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু পাচার রোধ করতে প্রশাসন তৎপর ।তা সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ঘটে যায় তার পরিণাম মর্মান্তিক।
from Breaking Kolkata http://bit.ly/2GTBi12
No comments:
Post a Comment