শিশুদের স্বল্প পরিমাণে চীনাবাদাম খাওয়ালে তা ভবিষ্যতে চীনাবাদাম-সংশ্লিষ্ট অ্যালার্জি এড়াতে সহায়ক হয়। এমনকি এটি অনিয়মিত হলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে। খবর এএফপি।
কয়েক বছর ধরে শিশুদের মধ্যে চীনাবাদাম-সৃষ্ট অ্যালার্জিতে (পিনাট-অ্যালার্জি) আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা বিষয়টি প্রতিরোধের পন্থা খুঁজতে গবেষণা শুরু করেন। এতে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শিশুদের জন্য বর্জনীয় কিছু খাবারকে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তাতে দেখা যায়, জীবনের শুরুতেই অল্প অল্প করে চীনাবাদাম খেলে তা ভবিষ্যতে পিনাট-অ্যালার্জি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এ গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, শিশুদের খাদ্যতালিকায় চীনাবাদামের অন্তর্ভুক্তি তাদের ভবিষ্যতে এ থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। এ-বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণার ফল বিবেচনায় নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাটি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর শিশুদের ওপর চীনাবাদামের প্রভাব বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ‘লার্নিং আর্লি অ্যাবাউট পিনাট অ্যালার্জি’ (লিপ) শীর্ষক ওই গবেষণায় ছয় শতাধিক শিশুর ওপর গবেষণা করা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন ‘লিপ-অন’ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগের গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৫৫০ শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় একটি অংশকে চীনাবাদাম খাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের যাদের ১১ মাস বয়সের মধ্যে চীনাবাদাম খাওয়ানো হয়েছে, তাদের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পিনাট-অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় কমে আসে। পাশাপাশি যারা আগে চীনাবাদাম খেয়েছে, কিন্তু বিরতি দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও অ্যালার্জি ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষকদের মতে, চীনাবাদাম গ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পিনাট-অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৭৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া যারা চীনাবাদাম খায়নি, তাদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে যারা খেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
ব্রিটেনের প্রতি ৫০ শিশুর মধ্যে একজন পিনাট অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রেও এ হার অনেক বেশি। এছাড়া আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমে বাড়ছে। সাম্প্রতিক এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস গত শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের মতামত আহ্বান করেছে। পিনাট অ্যালার্জি প্রতিরোধে সংস্থাটি বিভিন্ন মানুষের মতামতও চেয়েছে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এ-বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করতে সবার মতামত আহ্বান করেছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কী পরিমাণ চীনাবাদাম গ্রহণে পিনাট অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এছাড়া এর কার্যকারিতাইবা কতটুকু কিংবা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা, তা পুরোপুরি জেনেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এজন্য আরো বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন। তার আগে ঘরে ঘরে বিষয়টির প্রয়োগ এখনই করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কয়েক বছর ধরে শিশুদের মধ্যে চীনাবাদাম-সৃষ্ট অ্যালার্জিতে (পিনাট-অ্যালার্জি) আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা বিষয়টি প্রতিরোধের পন্থা খুঁজতে গবেষণা শুরু করেন। এতে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শিশুদের জন্য বর্জনীয় কিছু খাবারকে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তাতে দেখা যায়, জীবনের শুরুতেই অল্প অল্প করে চীনাবাদাম খেলে তা ভবিষ্যতে পিনাট-অ্যালার্জি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এ গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, শিশুদের খাদ্যতালিকায় চীনাবাদামের অন্তর্ভুক্তি তাদের ভবিষ্যতে এ থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। এ-বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণার ফল বিবেচনায় নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাটি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর শিশুদের ওপর চীনাবাদামের প্রভাব বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ‘লার্নিং আর্লি অ্যাবাউট পিনাট অ্যালার্জি’ (লিপ) শীর্ষক ওই গবেষণায় ছয় শতাধিক শিশুর ওপর গবেষণা করা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন ‘লিপ-অন’ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগের গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৫৫০ শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় একটি অংশকে চীনাবাদাম খাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের যাদের ১১ মাস বয়সের মধ্যে চীনাবাদাম খাওয়ানো হয়েছে, তাদের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পিনাট-অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় কমে আসে। পাশাপাশি যারা আগে চীনাবাদাম খেয়েছে, কিন্তু বিরতি দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও অ্যালার্জি ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষকদের মতে, চীনাবাদাম গ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পিনাট-অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৭৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া যারা চীনাবাদাম খায়নি, তাদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে যারা খেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
ব্রিটেনের প্রতি ৫০ শিশুর মধ্যে একজন পিনাট অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রেও এ হার অনেক বেশি। এছাড়া আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমে বাড়ছে। সাম্প্রতিক এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস গত শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের মতামত আহ্বান করেছে। পিনাট অ্যালার্জি প্রতিরোধে সংস্থাটি বিভিন্ন মানুষের মতামতও চেয়েছে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এ-বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করতে সবার মতামত আহ্বান করেছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কী পরিমাণ চীনাবাদাম গ্রহণে পিনাট অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এছাড়া এর কার্যকারিতাইবা কতটুকু কিংবা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা, তা পুরোপুরি জেনেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এজন্য আরো বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন। তার আগে ঘরে ঘরে বিষয়টির প্রয়োগ এখনই করার কোনো প্রয়োজন নেই।
from মিস বাংলা http://bit.ly/2LfOGAE
No comments:
Post a Comment