সবেমাত্র রিলিজ হয়েছে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার-২’-এর ট্রেলর। তার মধ্যেই ট্রোলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে
বেশ কিছু মিম। যার সবটা জুড়ে রয়েছেন এই ছবির নায়ক টাইগার শ্রফ। এখনও পর্যন্ত যে কটি সিনেমা টাইগার করেছেন, তা দেখে এটুকু দর্শক বুঝেছেন যে অ্যাকশন এবং স্টান্টে বেশ পারদর্শী
তিনি। কিন্তু তা বলে এত? অনেকেই বলছেন, ট্রেলর দেখে তো বোঝা দায়
যে এটা সিনেমা নাকি ক্যারাটে, মার্শাল আর্টের ক্লাস! কেউ কেউ আবার বলছেন, সিনেমার নাম বোধহয় ‘ফ্লাইং জাঠ-২’ হলেই ভালো হতো। বরুণ ধাওয়ান, আলিয়া ভাট এবং সিদ্ধার্থ
মালহোত্রা হালফিলে বি-টাউনের বেশ নামজাদা অভিনেতা। তবে এই তিন অভিনেতারই ডেবিউ
হয়েছিল ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ দিয়ে। ফার্স্ট পার্ট দেখার পর ছবির সিক্যুয়েল নিয়েও বেশ আশাবাদী ছিলেন
দর্শকরা। কিন্তু ট্রেলর রিলিজের পর বোঝাই যাচ্ছে দর্শকদের আশায় কার্যত
জল ঢেলে দিয়েছেন ছবির নির্মাতারা। ট্রেলর দেখে কেউ বলছেন রোহিত শেট্টির ছবিতে গাড়ি আর টাইগার শ্রফ
অনেকটা একই রকম। অকারণ হাওয়ায় উড়তে শুরু করে। আমির খানের ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবির বিখ্যাত রোম্যান্টিক
গান ‘পহেলা নেশা’-র উদাহরণ দিয়ে অনেকে বলছেন, টাইগারের সবচেয়ে পছন্দের লাইন ‘উড়তা হি ফিরু ইন হাওয়াও মে কহি’। তবে এই সব মিম এবং ট্রোলের সেরা মন্তব্য “এ বছর যত বেশি সময় জেট এয়ারওয়েজ আকাশে
থেকেছে, তার চেয়ে এই ট্রেলরে অনেক
বেশি সময় আকাশে ছিলেন টাইগার শ্রফ।”
তবে কেবল টাইগার নন, এই ছবির দুই অভিনেত্রীও দেদার ট্রোল হয়েছেন ট্রেলর রিলিজের পর। অনন্যা পাণ্ডে এবং তারা সুতারার ডেবিউ হবে এই ছবিতে। দুই কলেজ ছাত্রীর চরিত্রে
অভিনয় করেছেন তাঁরা। তবে পোস্টারে তাঁদের পোশাক এবং হাবভাব দেখে নেটিজেনরা বলছেন, “এমন কলেজ কেবল করণ জোহরের সিনেমাতেই পাওয়া যায়।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে টাইগারের নতুন ছবির ডায়লগ, “দিন তেরা হ্যায়, পর সাল মেরা হোগা।” আর এই নিয়েও নেটিজেনরা বলছেন, ‘সিনেমায় বারবার একই ডায়লগ বলা টাইগারের স্বভাব। কারণ উনি তো ঠিকঠাক ডায়লগ
বলতেই পারেন না।”

No comments:
Post a Comment