আগেই দু’বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাই নির্বাচন কমিশনের তরফে দুটি নোটিস
পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা দাবি করেছেন,
প্রার্থীপদ কেড়ে
নেওয়া হোক মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার। কিন্তু তাতে তাপ-উত্তাপ
নেই সাধ্বীর। সোমবার নিজের মনোনয়ন
জমা দিয়েছেন তিনি। আর মনোনয়ন জমা দিয়ে
এ বার গরুর উপকারিতা নিয়ে চমকদার কথা বললেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত। বললেন,
গোধন অমৃত। গোমাতার অনেক গুণ। গোমূত্রের ফলেই
তাঁর ক্যানসার সেরেছে।
সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন
করা হয়, বর্তমানে এই দেশে
গরুদের কী অবস্থা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গোমাতার অনেক গুণ। আমি ব্রেস্ট ক্যানসারে
আক্রান্ত ছিলাম। কিন্তু গোমূত্র
ও পঞ্চগব্য (পঞ্চগব্য হলো গরুর পাঁচটি দ্রব্যের মিশ্রণ। তারমধ্যে তিনটি প্রাকৃতিক,
যথা গোমূত্র,
গোবর ও গরুর দুধ। বাকি দুটি হলো ঘি
ও দই। এই পাঁচটি উপাদান
সঠিক পরিমাণে মিশিয়ে এই পঞ্চগব্য তৈরি হয় ) মিশিয়ে এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেয়ে আমার ক্যানসার
সেরে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক। আমিই তার জীবন্ত
উদাহরণ।”
শুধু এই বিষয়ই নয়, গরুর আরও অনেক গুণের কথাও এ দিন সংবাদমাধ্যমের
সামনে জানিয়েছেন এই বিজেপি প্রার্থী। গরুর পিঠে হাত বুলিয়ে দিলে তা রক্তচাপ
ঠিক রাখতে সাহায্য করে বলেই জানিয়েছেন সাধ্বী। তিনি বলেন,
“যদি আপনি গোমাতার
পিঠে পিছন থেকে সামনের দিকে হাত বোলান, তাহলে গোমাতার মন ভালো থাকে। আপনার মনও ভালো
থাকে। আর তাই রক্তচাপ
স্বাভাবিক থাকে। তবে সামনে থেকে
পিছনের দিকে হাত বোলালে আবার গোমাতার অস্বস্তি হতে পারে। এটা পুরোটাই বৈজ্ঞানিক। গোশালা এক অমৃতের
মতো জায়গা। সাধনা করার সবথেকে
ভালো জায়গা হলো গোশালা।”
সোমবার ১১ জন পুরোহিত নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান প্রজ্ঞা। সেখানে সাধুদের
মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। প্রজ্ঞা জানান,
তিনি হিন্দু বৈদিক
ক্যালেন্ডার দেখে এই বিশেষ সময় ঠিক করেছিলেন। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত
সাধ্বী প্রজ্ঞা আপাতত জামিনে জেলের বাইরে রয়েছেন। এ বারে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেস প্রার্থী
দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করা হয়েছে সাধ্বীকে। ১২ মে ভোপালে ভোটগ্রহণ
রয়েছে।

No comments:
Post a Comment