সিনেমা ছাড়াও টেলিভিশনেও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্তা। সম্প্রতি, 'বধাই হো' ছবির পর ফের একবার আলোচনায় উঠে এসেছে নীনা গুপ্তার নাম। তবে
সেসময় দাঁড়িয়ে জীবনে অনেক বোল্ড সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে নীনা গুপ্তাকে। 'সিঙ্গল মাদার' হিসাবে বড় করেছেন মেয়ে
মাসাবা গুপ্তাকে (বাবা ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডস)।
সম্প্রতি, এক
সাক্ষাৎকারে অভিনয় থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবকিছু নিয়েই খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী
নীনা গুপ্তা। একা হাতে মাসাবাকে বড়
করা নিয়ে নীনা বলেন,
'' প্রচলিত ফ্যামিলি বলতে যেটা বোঝায়, সেটা আমি
মাসাবাকে দিতে পারিনি। কখনও কখনও সেজন্য আমার
নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেসময় আমার কোনও কোনও
বন্ধু বলেছিল একটা শিশুর জন্য এটা ঠিক নয়। তবে সেসময় কে শোনে কার
কথা! সেসময় মানুষ ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে যায়। সেসময় আমারও ভীষণ মন
খারাপ লাগত,
একাকীত্বে ভুগতাম। মনে হতো আরও একটা সন্তান
থাকলে হয়ত সুবিধা হতো। একটা শিশুকে এতটাও একা
হতে হতো না। তবে
পরিস্থিতি সেরকম ছিল না।'' তবে নিজের
সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আফসোস নেই বলে জানান নীনা। তবে বর্তমান
প্রজন্মের উদ্দেশ্যে নীনার পরামর্শ, ''এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া,
সিঙ্গল মাদার হিসাবে সন্তানকে বড় করা খুবই কঠিন। এপথে
না হাঁটাই ভালো। কারণ
এধরনের ঘটনার ক্ষেত্র এদেশে মেয়েরা সংখ্যালঘু। তাই সেক্ষেত্রে
সংখ্যা গরিষ্ঠদের মধ্যে সন্তানকে বড় করা ভীষণ কঠিন। বিশেষ করে শিশুর
ক্ষেত্রে জীবনটা খুব কঠোর হয়ে যায়।'' সাক্ষাৎকারে
নানী মাসাবার কেরিয়ার নিয়ে নীনা গুপ্তা বলেন, ''মাসাবাও অভিনেত্রী হতে চেয়েছিল। আমি
ওকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি,
তুমি যদি অভিনয় করতে চাও তাহলে তোমায় বিদেশে চলে যেতে হবে। তোমাকে
যেমন দেখতে,
তোমার যেমন চেহারা তাতে এদেশে সেভাবে তুমি কাজ পাবে না। আর
এই চেহারায় তুমি খুবই কম চরিত্র পাবে, কখনওই নায়িকা হতে পারবে না। তুমি
হয়ত ভালো অভিনেত্রী হতে পারো, কিন্তু কখনওই হেমা মালিনী, কিংবা আলিয়া ভাট হতে পারবে না। ''
পরবর্তীকালে মাসাবা অবশ্য অভিনয় নয়, ফ্যাশান
ডিজাইনিংকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর ডিজাইনার
পোশাকের প্রশংসা করেন সোনম কাপুর, রেহা কাপুর, কঙ্গনা
রানাওয়াত, শিল্পা শেঠি, আথিয়া শেঠি সহ আরও
অনেক অভিনেত্রীই।

No comments:
Post a Comment