জীবনে একটা সম্পর্কে বিশ্বাসী নন টলিউডের
হট ফেভারিট অভিনেত্রী। জীবনটা যেহেতু বড়, তাই কেউ একটা সম্পর্কে আবদ্ধ থাকতে পারে না। ভাবছেন তো এমন কথা কোন
অভিনেত্রী বলতে পারেন! এমনটা মনে করেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখ্যার্জি।
‘দেবদাসী’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের
মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন স্বস্তিকা। ২০০৩ সালে উর্মী চক্রবর্তী পরিচালিত ‘হেমন্তের পাখি’ চলচ্চিত্রের
মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান রবি কিনাগী পরিচালিত
‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে।
বেশ কিছুদিন আগে, সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেলেও এ নিয়ে অফিশিয়ালি
কিছু বলেননি স্বস্তিকা। সুমনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ডিভোর্স না হওয়া এবং সুমন-স্বস্তিকার পারস্পরিক বোঝাপড়াই
নাকি দু’জনের সম্পর্ক ভাঙার কারণ।
মাঝে স্বস্তিকা এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে
‘শাহজাহান রিজেন্সি’র শুটিংয়ের সময় বহুবার দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সৃজিত নাকি এখনও স্বস্তিকা সম্পর্কে আগ্রহী বলে শোনা যায়। এ বিষয়ে স্বস্তিকা জানান, সম্পর্ক কখনও একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। সম্পর্ক নিয়ে তার চেয়ে খোলামেলা বোধহয় টলিউডের আর কোনও নায়িকা নন।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি কখনও একটি সম্পর্কে বিশ্বাসী না। জীবনের গতিপথের সঙ্গে তা
বদলায়। আমি একাধিকবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছি। কারণ জীবন বড়, এখানে একটি সম্পর্কে কেউ আবদ্ধ থাকে না। যে বলবে না, ধরে নিতে হবে সে লুকোচ্ছে। অথচ লুকনোর কিছু নেই এখানে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে তিনি বিখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী
সাগর সেনের পুত্র প্রমিত সেনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাঁদের বিবাহিত
জীবন সুখী ছিল না। তাঁদের দম্পতি জীবন পৃথক হওয়ার আগে মাত্র দুই বছর স্থায়ী ছিল। তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক অপব্যবহার এবং গর্ভবতী অবস্থায় তাঁকে বাড়ি
থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন (এটা অবশ্য পরে বরখাস্ত করা হয়)।
এই বিষয়ে স্বস্তিকা জানান, সাগর সেনের সঙ্গে ২০০০ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মামলা দায়ের
করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর
মন পরিবর্তন হয় এবং তিনি অভিনয়ে সফল হয়ে ওঠেন। তাঁদের এক মেয়ে অন্বেষা
২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করে।
এরপর ২০০১ সালে স্বস্তিকা আনন্দ শঙ্কর
সেন্টারে ‘কালচার লার্নিং ড্যান্স’-এ ভর্তি হন, যেখানে তিনি তনুশ্রী শংকরের কাছে থেকে নৃত্যর তালিম নেন। সেই সময় জিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই নিয়েও কম জল্পনা হয়নি। কানাঘুষোয় শোনা যায় কোয়েল মল্লিকের জন্য তাঁদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। এই সম্পর্কের ব্রেকআপ হওয়ার পর স্বস্তিকা পরমব্রত চট্রোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে
জড়িয়ে পড়েন। ‘ব্রেক ফেল’-এর শ্যুটিং সেটে দুজনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়।
কিন্তু তিনি সেই সময় স্বস্তিকা প্রমিত
সেনের বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন। ২০১০ সালে তাঁরা আলাদা হওয়ার পর স্বস্তিকা লন্ডন চলে যান। তারপরও টলিউডের অনেকের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। ছাড়ানোটাই তো স্বাভাবিক। তিনি যে স্বস্তিকা। একাধিক সম্পর্কে বিশ্বাসী।

No comments:
Post a Comment