প্রতিদিন "ওম" মন্ত্র পাঠ করলে অশান্তি দূরে পালাবে সেই সঙ্গে এই ১০ টি উপকারও পাবেন! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 23 April 2019

প্রতিদিন "ওম" মন্ত্র পাঠ করলে অশান্তি দূরে পালাবে সেই সঙ্গে এই ১০ টি উপকারও পাবেন!



সারা ভূ-বিশ্বে "ওম" মন্ত্রের থেকে বেশি শক্তিশালী আর কোনও মন্ত্র নেই মনের শান্তি ফিরে পেতে হাজার হজার বছর আগে থেকে মুনি-ঋষি থেকে সাধারণেরা এই মন্ত্রের জপ করে চলেছেন বেদ-উপনিষদে লেখা তো আছেই, বিদ্বান-ধার্মিকেরাও মনে করেন প্রতিদিন এই মন্ত্রের উচ্চারণ করলে আশান্তি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না শুধু তাই নয়, মনের শান্তিও ফিরে আসে, একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে রোগ-ভোগের চিন্তাও দূর হয় একথায় বলতে গেলে "ওম" মন্ত্র হল সেই শক্তির আধার যেখানে পাপের নিকাশ হয়, আর আনন্দের জন্ম হয় প্রসঙ্গত, ওম মন্ত্র উচ্চারণ করলে যে শুধু মানব জাতির কল্যাণ হয়, তা নয় সেই সঙ্গে আশেপাশের পরিবেশেও পজেটিভ চেঞ্জ আসতে শুরু করে, যা নানাভাবে আমাদের জীবনকে আলোকিত করে তোলে তাই তো একটাই প্রশ্ন করতে চাই আপনাদের, প্রতিদিন কয়েক মিনিট এই মন্ত্রটি পাঠ করলে যদি জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে, তাহলে এমনটা করলে কী সত্যিই কোনও ক্ষতি আছে? এই প্রবন্ধে আলোচিত "ওম" মন্ত্রের উপকারিতাগুলি জেনে গেলে আপনি যে এই উত্তরও পেয়ে যাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি
১. মন খুশিতে ভরে ওঠে: ওম মন্ত্র জপ করলে আমাদের শরীরের অন্দরে যেমন পিজিটিভ চেঞ্জ হতে শুরু করে, তেমনি আমাদের আশেপাশের পরিবেশেও এমন বদল আসে যে মন আপনা থেকেই ভাল হতে শুরু করে দেয় তাই যখন দেখবেন মন আর নিজের দখলে নেই, ক্লান্তি এবং দুঃখে জর্জরিত তখন একবার কয়েক মিনিটের জন্য এই মন্ত্রটি পাঠ করবেন দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে
২. মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে: কনসেন্ট্রেশন বাড়াতে এই প্রাচীন মন্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে তাই তো যোগ গুরুরা ছাত্রা-ছাত্রীদের প্রতিদিন এই মন্ত্রটা পাঠ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আর আজকের জেট যুগে যেখানে সবাইকেই চরম প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সেখানে মনোযোগের অভাবের কারণে কতটা পিছিয়ে যেতে হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না তাই কর্মজীবন এবং পড়াশোনায় আরও সফলতা পেতে প্রতিদিন সকালে "ওম" মন্ত্র পাঠ করা শুরু করুন দেখবেন সফলতা আপনার থেকে বেশি দিন দূরে থাকতে পারবে না
৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: শরীর যত রোগমুক্ত থাকবে, মন তত আনন্দে ভরে উঠবে তাই তো শরীরকে নানাবিধ রোগের হাত থেকে দূরে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন আর এমনটা তখনই হবে যখন শরীরের রোগ প্রকিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ওম মন্ত্র কারণ একাধিক প্রাচীন পুঁথিতে উল্লেখ রয়েছে এই মন্ত্রটি পাঠ করার অভ্যাস করলে ইমিউনিটি বাড়তে শুরু করে ফলে কোনও রোগই ধারে আর কাছে ঘেঁষতে পারে না
৪. সাইনাসের সমস্যা দূর হয়: ওম মন্ত্র জপ করার সময় ভোকাল কর্ড এবং সাইনাসে স্পন্দন তৈরি হয় ফলে এই অংশের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইনাস এবং ভোকাল কর্ড সম্পর্কিত নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে
৫. মানসিক চাপ দূর হয়: কর্ম ব্যস্ততার কারণে আজ আমরা কম-বেশি সকলেই মারাত্মক চাপের মধ্যে থাকি ফলে মানসিক শান্তির ঠিকানা পাওয়া যায় না সেই কারণই তো এই ২১ শতকে আরও বেশি করে ওম মন্ত্রের সাহায্য নেওয়া নেওয়া উচিত কারণ আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে এই মন্ত্রটি জপ করলে শরীর এবং মস্তিষ্ক শান্ত হতে শুরু করে ফলে মানসিক চাপও কমে যায় আর একবার যদি স্ট্রসকে বাগে এনে ফেলতে পারেন তাহলে তো কেল্লাফতে কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে দেখা গেছে ২৫-৪০ বছর বয়সিরা যে যে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তার সিংহভাগের সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে
৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: ওম মন্ত্র জপ করার সময় আমাদের রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক মাত্রায় এসে য়ায় সেই সঙ্গে হার্টের পাশাপাশি সারা শরীরে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে ফলে কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো হ্রাস পায় তাই যাদের পরিবারে হার্ট অ্যাটাক বা কোনো ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে তারা দয়া করে আজ থেকেই ওম মন্ত্রের জপ করা শুরু করুন দেখবেন দারুন উপকার পাবেন
৭. শরীরের ক্ষয় রোধ হয়: প্রাচীন ভারতে বিশ্বাস করা হত ওম মন্ত্র জপ করতে করতে হাতের তালু দুটি কিছুক্ষণ ঘষে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন জয়গায় রাখলে দেহের ক্ষয় রোধ হয় সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়
৮. ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে: প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করলে আমাদের শরীরে অন্দরে পজেটিভ এনার্জিতে ভরে যায় যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পরে আমাদের ত্বকের উপর সেই কারণেই তো এই মন্ত্রটিকে রোজের সঙ্গী করলে সার্বিক ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তাই তো শরীর এবং ত্বকের বয়স ধরে রাখতে প্রতিদিন ওম মন্ত্রের পাঠ জরুরি
৯.স্পাইনাল কর্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: সোজা হয়ে পদ্মাসনে বসে ওম মন্ত্র জপ করার সময় আমাদের শিরদাঁড়াতে এক ধরনের কম্পন সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে স্পাইনাল কর্ড এবং তার আশেপাশের পেশিকে শক্তপোক্ত করে তোলো ফলে পিঠের যন্ত্রণা সহ পিঠ সম্পর্কিত একাধিক সমস্যা দূর হয়
১০. থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: এই মন্ত্রটি পাঠ করার সময় শরীরের এই অংশেও স্পন্দন তৈরি হয় ফলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad