সাচ্চা প্রেমের দৌলতে যদি কপালে কলঙ্ক জোটে তাহলেও পিছিয়ে
আসা চলবে না। এমনই
এক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে করণ জোহর প্রযোজিত এই ছবি। তবে আসলে এই
গল্পে প্রেমের চেয়েও বেশি রয়েছে প্রতিশোধ . দেশ বিভাগের প্রেক্ষাপটে এই ছবির গল্প। অধুনা
পাকিস্তানের লাহোরের কাছে হুসনাবাদ শহরে ঘটছে এই গল্প। সেই হিসেবে
এই ছবিটিকে পিরিয়ড ফিল্ম বললে অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু স্বাধীনতার
আগে একটি ইংরেজি দৈনিক কাগজের মালিকের লাইফ স্টাইল দেখলে তাজ্জব বনে যেতে হয়। তার
বাড়ি,
তার ঠাট-বাট, তার চালচলন এবং তার জীবন-যাপন যে
কোনও আরব শেখকেও লজ্জা দিতে পারে। তো এমনই এক
মানুষ হলেন বলরাজ (সঞ্জয়)। তার পুত্র দেব (আদিত্য)
এবং আদিত্যর স্ত্রী সত্য (সোনাক্ষী) ছাড়া ওই প্রাসাদে আর কেউ থাকেন না। বিলিতি
গাড়ি কিংবা ঘোড়ায় টানা শৌখিন কোচে চেপে তাদের যাতায়াত। মুশকিল হল সত্য
জানতে পারে সে ক্যানসার আক্রান্ত এবং বাঁচবে আর মাত্র এক বছর। অতএব, সে
নিজের মৃত্যুর আগে স্বামী দেবের আরও একবার বিয়ে দিতে চায়। সেই
মেয়েটি হল রূপ (আলিয়া)। বিপদ হল এই দেব এতই
স্ত্রী ভক্ত যে সে স্পষ্ট রূপকে জানিয়ে দিল এই বিয়ে আসলে সমঝোতার। রূপ
যেন কোনও মতেই এর বেশি কিছু প্রত্যাশা না করে।
সেই
শহরে একই সঙ্গে থাকে বাঈজি বাহার বেগম (মাধুরী) এবং তার পুত্র জাফর (বরুণ)। গণ্ডগোলটা
এর পরেই। স্বামীর
ভালোবাসা না পেয়ে একাকী রূপ প্রেমে পড়ে যায় জাফরের। জাফর আবার পেশায়
কামার। সে
কাজ করে আবদুল (কুণাল)-এর অধীনে। যখন একটা পরকীয়া প্রেমের
গল্প জমে উঠেছে,
সেই সময় জানা যায়, জাফর রূপের সঙ্গে প্রেম করার
ছল করছে বলরাজের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
কেন
জাফর প্রতিশোধ নিতে চায় এবং সে শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা এটা ঘিরেই ছবির বাকি নাটক। খুব
প্রেডিক্টেবল সব কারণ-টারণ। তবে এই মামুলি গল্প
তিন ঘণ্টা ধরে বসে দেখা একটু বিরক্তিকর। অবশ্য আলিয়া, বরুণ
এবং খলনায়কের চরিত্রে কুণাল তাঁদের অভিনয় দিয়ে দর্শকের এই বিরক্তি কাটানোর প্রাণপণ
চেষ্টা করেছেন। তবে যখন স্পেকট্যাকল-নির্ভর
এ ছবির প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে রয়েছে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের দৌলতে চোখ ধাঁধানো অবিশ্বাস্য
ভিজ্যুয়াল এবং করণ জোহরের টিপিক্যাল প্রেম-ফিলোজফির মধ্যে, তখন
কেবলমাত্র অভিনয় দিয়ে সেই ভ্রমরকে হত্যা করে ছবির ইত্যাকার রাক্ষস এবং খোক্কসদের মৃত্যু
ঘটানো অসম্ভব।
Post Top Ad
Saturday, 20 April 2019
অভিনয় দারুণ, তবু ছবির দোষগুলো প্রকট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment