সারদা মামলার তদন্ত রাজ্যের তুলনায় ভালো সিবিআই করছে ।তবে গতি কম এরফলে অনেকেই সুবিধা পেতে পারেন । মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরায় বসতে চেয়ে পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারকে তিরস্কার করলেন তৃমমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ।উল্টো দিকে সারদা সংস্হার কর্তা , সুদীপ্ত সেন বলেন, তিনি যে কোনও দিন মারা যেতে পারেন । তিনি মৃত্যুর অপেক্ষায় আছেন ।
বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে আসেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও তার সহযোগী দেবযানী ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের উত্তরে সুদীপ্ত সেন নির্লিপ্তভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুদীপ্ত সেন ।তিনি বলেন, আমি মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি ;যেকোনো দিন মারা যেতে পারি । আমার বেঁচে থাকার মত কিছু নেই , আমার সারদার সব সম্পত্তি শেষ হয়েছে । পরিস্কার ভাবে এজন্য কাউকে দায়ী না করলেও বারাসাত আদালতে ঢোকার আগে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুদীপ্ত সেন ।
সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছে ।সারদার সুদিনের চেহারার সাথে আজকের সুদীপ্তকে মেলানো যাবে না ।পুলিশের পাহারায় সুদীপ্ত সেন এতটাই দূর্বল যে তিনি ঠিকমত নিজের শারীরিক শক্তি বলে জোরে হাঁটার ক্ষমতা নেই ।উল্টোদিকে দেবযানী ভট্টাচার্য আগের তুলনায় স্লিম এবং সাজ পোশাকে আধুনিক ।এদিন ঠোঁটে হাসি ভাসিয়ে চুপ থেকে যান দেবযানী ভট্টাচার্য ।
অন্যদিকে , সারদা তদন্ত গতি পেয়েছে মেনে নিয়ে কূণাল ঘোষের দাবী তদন্তের স্বার্থে মুকুল রায়কে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক তাহলে বেরিয়ে আসতে পারে অনেক তথ্য । অন্যদিকে অর্নব ঘোষ কেও বসানো হোক তাঁর সঙ্গে জেরা করা হোক । এরপরে তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন , তিনি রাজীব কুমার কে ' বাঘের বাচ্চা' ভাবলেও আদতে তিনি তা নন । এর পরেই কুণাল বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে । তিনি বলেন ,বিশেষ আদালত তাঁর নিরাপত্তার দাবী মঞ্জুর করলেও রাজ্য নিজেরা এই বিষয়ে নিজেদের জড়িয়ে আপত্তি তুলে ধরেছে আইনজীবীদের মাধ্যমে । ' এঁদের চরিত্র আমি দেখতে চাই ' জানিয়ে কিছু পরেই বিষ্ফোরক কুনাল , ' যেদিন নদীয়ার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হন কোথায় ছিলেন এই আইনজীবিরা ? ' যদিও লোকসভার তৃনমূলের প্রার্থী তালিকা বা অর্জুন সিং প্রসঙ্গে নীরব থেকে যান কুনাল ।
No comments:
Post a Comment