লঁজারি ছাড়া ওয়ার্ডরোব অসম্পূর্ণ। শুধু সুন্দর পোশাক পরলেই হবে না, অন্তর্বাসও সুন্দর হতে হবে, আরামের হতে হবে।
দামি ফেব্রিকের, সুন্দর ডিজাইনের অন্তর্বাস পরলে একটা অন্য রকম তৃপ্তি আসে শরীর-মনে। আর এটাই সারাদিনের জন্য মেয়েদের মুড তৈরি করে দেয়।
শুধুমাত্র বাইরে বেরলেই যে সুন্দর অন্তর্বাস পরবেন, তা নয়। বাড়িতে থাকলেও পরুন আরামদায়ক লঁজারি। অন্তর্বাস শুধু পরিধানের জন্যেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনকেও রঙিন করে। যৌনজীবন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে নানা ধরনের বিশেষভাবে ডিজাইন করা লঁজারি। আবার জিম বা জগিংয়ের সময়ে যদি বিশেষ ধরনের অন্তর্বাস না পরা হয়, তবে আঘাত লাগতে পারে শরীরের কোমল অংশে।
টি-শার্ট ব্রাঃএই ধরনের ব্রা হল বেসিক ব্রা, যা পরা যায় যে কোনও জামা-কাপড়ের ভিতরে। বলা যেতে পারে এটাই মেয়েদের অফিসিয়াল ব্রা। এই ধরনের ব্রা-এর বিশেষত্ব হল— জামা-কাপড়ের উপর থেকে স্ট্র্যাপ বা লোয়ার ব্যান্ড খুব একটা বেশি বোঝা যায় না। অফিসে বা কলেজে তা কাম্যও নয়। ভাল ব্র্যান্ডের টি-শার্ট ব্রা সারাদিন পরে থাকলেও কষ্ট হয় না। কালো, স্কিন এবং সাদা—এই তিন রঙের টি-শার্ট ব্রা কিনে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে ইচ্ছে করলে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়েও কিনতে পারেন।
পুশ-আপ/ প্যাডেড ব্রাঃএই ধরনের ব্রা হল পার্টি বা ডেটিংয়ের জন্য ঠিকঠাক। যে কোনও লো-নেক ড্রেস বা লো-নেক ব্লাউজের নীচে পুশ-আপ ব্রা পরলে সুন্দর লাগবে ক্লিভেজ। প্যাডেড হলে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড় মনে হবে ব্রেস্ট। হালকা প্যাডিং থাকাই ভাল। না হলে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। যাঁদের স্যাগিংয়ের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ওয়্যার দেওয়া পুশ-আপ ব্রা পরলে ব্রেস্টের শেপ সুন্দর রাখতে পারবেন।
সেক্সি সেটঃএই লঁজারি একেবারেই ব্যক্তিগত সময়ের জন্য। সঙ্গীকে ছুঁয়ে যদি বিছানায় ‘অন্য’ হতে চান, তবে ওয়ার্ডরোবে একটি সেক্সি সেট রাখতেই হবে। বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্রা এবং প্যান্টির সেটই হল সেক্সি সেট। সচরাচর স্বচ্ছ লেস দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ লঁজারি, সিল্কেরও হতে পারে। তবে কেনার আগে দেখে নিতে হবে আপনাকে কেমন মানাচ্ছে।
স্পোর্টস ব্রাঃজিম, জগিং, খেলাধূলা বা য়োগা করার সময় অবশ্যই পরতে হবে এই বিশেষ ব্রা। অনেকে কাজের জায়গাতেও পরেন এই ধরনের ব্রা। কী ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তার উপর নির্ভর করছে। তবে বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে সারাদিন এই ব্রা পরে থাকার কোনও মানে হয় না।
স্টকিংসঃযাঁরা ড্রেস পরেন, তাঁদের তো অবশ্যই রাখতে হবে কয়েক জোড়া স্টকিংস। স্কিন, কালো এবং সাদা—এই তিন রঙের স্টকিংস রাখতে তো হবেই, তা ছাড়া ব্যক্তিগত সময়ের জন্য কিনতেই পারেন ফিশনেট। তবে আপনার সঙ্গী সেটা পছন্দ করবেন কি না, সেটা বুঝে তবেই কিনবেন।
বেবিডলঃবেবিডলে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে মেয়েদের। বিভিন্ন ধরনের বেবিডল পাওয়া যায় আজকাল। কোনওটা বেশি সেক্সি, তো কোনওটা সারাদিন পরে থাকার পক্ষে বেশ আরামদায়ক। সাধারণ নাইটির বদলে বাড়িতে যদি বেবিডল পরেন, আর আলতো করে গায়ে জড়িয়ে রাখেন নরম সিল্ক বা সুতির ড্রেসিং গাউন, তবে সঙ্গীর চোখ সারাক্ষণ আপনার দিকেই থাকবে।
করসেটঃকরসেট এক সময়ে সব মেয়েরাই পরত। কিন্তু পরবর্তীকালে টু-পিস ব্রা-প্যান্টিই বেশি জনপ্রিয় হয় মেয়েদের মধ্যে। কারণ, পুরনো করসেটগুলির মধ্যে একটা দম বন্ধ করা ব্যাপার থাকত। এখনকার দামি ব্র্যান্ডের করসেট যথেষ্ট আরামদায়ক। তাছাড়া শরীরকে সুন্দরভাবে শেপ-আপ করে দেয় করসেট। ড্রেস বা ফিটেড সালোয়ার-কামিজের নীচে করসেট পরলে ভাল লাগে।
ক্যামিসোলঃবিদেশে ব্রা-এর পরিবর্তে শুধুই ক্যামিসোল পরার চল রয়েছে। ভারতীয় সমাজে মেয়েদের অনেক বুঝেশুনে চলতে হয়। তাই ওটা সম্ভব না। সবচেয়ে ভাল, বাড়িতে ক্যামিসোল পরা। এতে পোশাকের নীচে একটা আরামদায়ক সার্পোটও পাওয়া যায়, আবার একবারেই অগোছালো না-থেকে একটু ফিটফাট লাগে।
No comments:
Post a Comment