ক্যানসার প্রতিরোধে ১৩ খাদ্যঃযুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সব ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেই খাদ্যের একটা যোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ১৭টি দেশের ১৭০টি গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যতালিকা একটু পাল্টে নিলেই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে। ক্যানসার প্রতিরোধী বিভিন্ন খাবার প্রতিদিন কিছু পরিমাণে গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে। আসুন, জেনে নিই সেই খাদ্য তালিকা।গাজর, হলুদ ও কমলা রঙের সবজিঃএসবে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী বিটাক্যারোটিন, যা ক্যানসার কোষের ওপর চড়াও হয়।টমেটো, তরমুজঃটমেটো ও তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন, যার পরিমাণ রক্তে কম হলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যায়।সবুজ শাকসবজিঃগাঢ় সবুজ শাকসবজিতে ক্যানসাররোধী বিটাক্যারোটিন, ফোলেট ও লিউটেইন থাকে। যে শাকসবজি যত সবুজ, তাতে তত বেশি উপাদান রয়েছে।বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগমঃঅল্প সেদ্ধ করলে সবজির উপাদান ঠিক থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই সবজি নিয়মিত গ্রহণে খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে।সয়াবিনঃসয়াবিনে ক্যানসাররোধী অন্তত পাঁচটি উপাদান রয়েছে। এসবের মধ্যে একটি উপাদানের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য স্তন ক্যানসারে ব্যবহূত ওষুধ টেমোক্সিফেনের মতো।রসুন ও পেঁয়াজঃরসুন-পেঁয়াজজাতীয় সবজিতে রয়েছে খাদ্যনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস ও যকৃতের ক্যানসাররোধী কয়েকটি উপাদান, যা রসুনের নির্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির প্রায় ৭১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফলঃযারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খায়, তাদের অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধঃস্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্ল্যাবিন, ভিটামিন এ, সি, ডি প্রভৃতি উপাদান, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।পোস্টি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন।আমদের পেজ এর সব পোস্ট এ লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন, তাহলেই আমরা আর ভাল পোস্ট নিয়ে হাজির হবার অনুপ্রেরণা পাব।
No comments:
Post a Comment