এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভুপতিনগরে। আটক অস্ত্র সহ এক মহিলা। জনরোষে পুড়ল একটি মোটর সাইকেল।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগর থানা এলাকার বিড়িবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হৃষীকেশ ধাউড়িয়া। হৃষীকেশ ধাউড়িয়া একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। বুধবার রাতে ঋষিকেশ এর বাড়িতে হাজির হন এলাকায় কিছু মানুষজন। তাদের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয় হৃষিকেশ এর। তারপর, রাতের অন্ধকারে তাদের হাত থেকে হঠাৎই ছিটকে পালায় হৃষিকেশ। হৃষিকেশ পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রচার হতেই তার বাড়ির সামনে হাজির হন এলাকার আরো বেশ কিছু মানুষ।
হৃষিকেশ এর বাড়িতে হাজির হয়ে হৃষিকেশ এর স্ত্রী সরস্বতী ধাউড়িয়া কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এলাকার মানুষ। সেই সময় তার বাড়ি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। এরপরই ভূপতি নগর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপরই উত্তেজিত জনতা হৃষিকেশ এর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকি হৃষিকেশ এর বাড়ির সামনে থাকা একটি মোটর সাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির হাত ধরে এলাকায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে বিজেপির অভিযোগ, পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে ও কণ্ঠ রোধ করতে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের কর্মী সমর্থক এর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এর অভিযোগ কে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। বাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানোর কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোটের আগে এই আক্রমণ চালিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এই ঘটনা স্থানীয় বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন মাইতির অভিযোগ, হৃষীকেশ ধাউড়িয়া তাঁদের দলের সমর্থক হওয়ায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এবং তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা সাজানো বলেই তাঁর অভিযোগ।
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মানব পড়ুয়ার অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তাঁর অভিযোগ, হৃষিকেশ ধাউড়িয়া আগে সিপিএম করতো। সাইকেল মোটর সাইকেল চুরি করার অভ্যাস রয়েছে। এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। বিজেপির কিছু দুষ্কৃতীদের নিয়ে দিন কয়েক ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল। বুধবার রাতে তাঁদের গ্রামবাসীরা তাড়া করতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের শাস্তি হবেই। এলাকায় কোন ভাবে অশান্তি সৃষ্টি হতে দোব না আমরা।
No comments:
Post a Comment