"চুরি গেছে রাফায়েল চুক্তির কাগজপত্র "সুপ্রিম কোর্ট সওয়াল কেন্দ্রের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 7 March 2019

"চুরি গেছে রাফায়েল চুক্তির কাগজপত্র "সুপ্রিম কোর্ট সওয়াল কেন্দ্রের

রাফায়েল চুক্তি সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে "চুরি" হয়েগেছে । সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে এসে এমনটাই জানালেন দেশের এটর্নি জেনারেল কে কে ভেনু গোপল।বেনুগোপাল শীর্ষ আদালতকে জানান, যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গেছে এবং সে চুরির তদন্ত চলছে। তাঁর সওয়াল, রাফাল চুক্তি নিয়ে আবেদনকারীরা যে নথির উপর ভিত্তি করে রয়েছেন, তা গোপন এবং গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনকারী।

এদিনের শুনানির সময়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে আদালতে বলা হয়, “এফ ১৬-র মত যুদ্ধ বিমান, যারা সম্প্রতি আমাদের দেশে হামলা চালিয়েছে, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের রাফাল প্রয়োজন।  যদি রাফাল না থাকে তাহলে আমরা তাদের প্রতিরোধ করতে পারব না।” এর উত্তরে বিচারপতি কে এম জোসেফ কড়া ভাষায় কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেন, “দুর্নীতির প্রশ্ন উঠলে কি জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাকে আড়াল করা যায়?”
এরপর রাফাল মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রাফাল মামলার ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিস। একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরী এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অন্য পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন আপের সাসংদ সঞ্জয় সিং।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও কে এম জোসেফের বেঞ্চ ১৪ ডিসেম্বর রায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে , ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে কোনও আদালতের পর্যবেক্ষণে কোনও তদন্ত হবে না। একই সঙ্গে আদালত বলেছিল সরকার বাণিজ্যিকভাবে কাউকে কিছু পাইয়ে দিয়েছে এমন কোনও বাস্তবতাও নেই।
ওই রায় দেওয়ার পরদিনই কেন্দ্র আদালতের শরণাপন্ন হয়। ওই শুনানির সময়ে কেন্দ্র আদালতে যে নথি দাখিল করেছিল, তাতে লেখা ছিল যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যুদ্ধ বিমানের দাম পরীক্ষা করে দেখেছে এ কথা লেখা থাকলেও, বাস্তবত তা হয়নি। এ সংক্রান্ত ভুল সংশোধন করার কথা কেন্দ্র আদালতকে জানায়।


এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, একাধিক কোটি টাকার জেট চুক্তি নিয়ে শীর্ষ আদালতে এটর্নি জেনারেল কে কে বেনু গোপলের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, "প্রমাণ ধ্বংস" এবং "সুস্পষ্ট কভার-আপ" ছিল।
"রাফায়েল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। দুর্নীতির তার সাথে শুরু হয় এবং শেষ হয়। রাফায়েলের যে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি সরকারের দ্বারা "চুরি" করা হয়েছে এমনকি প্রমাণ ধ্বংস এবং একটি সুস্পষ্ট কভারআপ, করা হয়েছে বলে "তিনি টুইট করেছেন।

এর আগে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রনদীপ সুজীওয়ালা রাফায়েল চুক্তিতে দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন এবং বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করার সময় এসেছে। "এখন স্পষ্ট যে রাফায়েল চুক্তিতে বিভ্রান্তিকর ও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। । সন্দেহভাজনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে মোসাদ্দারা ড্যাসল্ট এভিয়েশনকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার অফিসকে অপব্যবহার করেছিলেন এবং জনসাধারণের কাছে সরকারি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন "।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad