প্রেসকার্ড নিউজ:তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যাওয়ায় কার্যত পুরস্কৃত করা হল নিশীথ প্রামাণিককে। তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল বিজেপি। কিন্তু সদ্য দলে আসা নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করায় কোচবিহারে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রীতিমত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে গোপনে কোচবিহার বিজেপির অনেক নেতা কর্মী বৈঠকও করেন। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় থাকা কাউকে দল থেকে পদত্যাগ করিয়ে তাঁকে নির্দল প্রার্থী করে নির্বাচনের লড়াইয়ে নামাতে পারে বলেও বিশেষ সূত্রে খবর। তবে এনিয়ে কোচবিহার বিজেপির কেউ প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য করতে রাজী হননি।
অন্যদিকে নিশীথ প্রামানিককে বিজেপি প্রার্থী করায় তাঁদের দলীয় প্রার্থীকে বেশী ব্যবধানে জিতিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের নেতাদের দাবি। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “নিশীথ প্রামাণিক কে, তা কোচবিহারের মানুষ সবাই জানেন। তৃনমূলে থাকার সময় কিভাবে অশান্তির সৃষ্টি করেছিলেন নিশীথ। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারনে নয়, ডাকাতির ঘটনায় পর্যন্ত অভিযোগ রয়েছে। যা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁকে জিতিয়ে এনে ফের নতুন করে কোচবিহারে আশান্তির সৃষ্টি হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এতে আমাদের জয়ের ব্যবধান আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, “কে কি বলল, তাতে যায় আসে না। মানুষ ভোট বিজেপিকেই দেবে। আর বিজেপি কোচবিহার কেন্দ্রে জয়ী হবে।”তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে আসা প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে প্রার্থী করায় তৃণমূলের অভ্যন্তরে অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে ইতিমধ্যেই ওই ক্ষোভের সামাল দিয়ে তৃণমূল অনেক কে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামাতে সক্ষম হয়েছে। খোদ বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রচারে নেমে পড়েন। দিনহাটায় বেশীর ভাগ নির্দল জনপ্রতিনিধি বিবাদ ভুলে তৃনমূলে যোগদান করেছেন।
এদিকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নিশীথ প্রামাণিক সদ্য দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে প্রার্থী করায় বিজেপির অন্দরেও সেই একই ভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা দীপক বর্মণ দল থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলেও একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। সাধারণ কর্মী সমর্থকদের একটা বড় অংশের মধ্যেও সেই ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার বিজেপি কিভাবে সেই ক্ষোভ সামাল দিয়ে কিভাবে নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামে।
No comments:
Post a Comment