বিজেপি মুকুলে বিভ্রান্ত হয়ে মন্ত্রীর ডিগবাজিতে চমকে উঠল তৃণমূল , ৪২ এ ৪২ নয় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 10 March 2019

বিজেপি মুকুলে বিভ্রান্ত হয়ে মন্ত্রীর ডিগবাজিতে চমকে উঠল তৃণমূল , ৪২ এ ৪২ নয়









মুকুল রায়ে বিভ্রান্ত তৃণমূল !  কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে নিজের মন্তব্য পাল্টে পাল্টি খেলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার দুপুরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৫টি আসনে বিজেপি ৩কেন্দ্রে বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ।আর বিকেলে বললেন, বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা।

শনিবার দুপুর থেকে মধ্যমগ্রাম পার্টি অফিসে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা তৃণমূলের নির্বাচনী কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বারাসাত ব্যারাকপুর, দমদম এই তিন লোকসভা  কেন্দ্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে উপলক্ষে জন প্রতিনিধিদের রণকৌশল ছকে দেন  জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি তাদের স্ক্রুটিনি রিপোর্ট জমা দিতে বলেন আগামী বুধবার।সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে বিধাননগরের মেয়র তৃণমূলের সব্যসাচী দত্তের বাড়ি যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়।সুত্রের খবর বারাসত লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের বিরোধী শিবিরের রাজারহাটের তৃণমূল সব্যসাচী দত্তকে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন মুকুল রায়।তাদের দেড় ঘন্টার রাজনৈতিক আলোচনাও হয়। শনিবার তৃণমূলের বৈঠকে আসেন নি সব্যসাচী দত্ত।এ প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রি মল্লিক বলেন, ভোটের আগে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছে মুকুল । সেই কারণেই বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে যাচ্ছে সে।জ্যোতিপ্রিয়র আরো যুক্তি,ভোটের আগে সব জনপ্রতিনিধিদের কাছে  হয়তো যাবে মুকুল।আমার বাড়িতে বা কাকলির বাড়িতেও উদয় হতে পারে সে।এদিনের বৈঠকে সব্যসাচীর অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে সব্যসাচীর  স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।মন্ত্রীর আরও যুক্তি,এবার ভোটে বিজেপি নাকানি চোবানী খাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ৫ কেন্দ্রে।




এই  মন্তব্য করার আগে খাদ্যমন্ত্রী এদিন দুপুরে মধ্যমগ্রামে বৈঠক শুরুর আগে বলেন, উত্তর ২৪ পরগনার জেলার পাঁচ লোকসভা আসনের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ হতে পারে। 'বারাসত, ব্যারাকপুর ও বসিরহাটে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াই হবে বিজেপির। বাকি বনগাঁ ও দমদমে লড়াই হবে সিপিএমের সঙ্গে।'

 মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠকে  জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক অর্জুন সিং, নির্মল ঘোষ, পরেশ দত্ত, পার্থ ভৌমিক, মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেলার তিন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে কবুল করার পর  দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট আর লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিত আলাদা। পঞ্চায়েতে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে অনেকে নির্দলে দাঁড়ায়। লোকসভা ভোটে সেটা হবে না। দলের সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে।'

লোকসভা ভোটের রণকৌশল সম্পর্কে এদিন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'প্রত্যেক বুথে ২০ জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি মানুষের সমস্যার কথা শুনেবন। সেই সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। জনসংযোগের মধ্যে দিয়েই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাব।'

এদিকে , শুক্রবার  বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এর লুচি-আলুর দমের আমন্ত্রনের মধ্যে কী  রাজনৈতিক সমীকরণ লুকিয়ে আছে  তা জানতে ততপর বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূল শিবির। শুক্রবার সন্ধ্যায়  মুকুল রায় বলেন, " সব্যসাচীর বাড়িতে আমি ১০ দিন আগেও এসেছি। দুই মাস আগেও এসেছি। ওর সাথে দাদা ভাই এর সম্পর্ক"।  বিজেপির নির্বাচণ কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়ের সঙ্গে গত ৩-৪ মাস নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন সব্যসাচী? তেমনই গত ৩-৪ মাস ধরে সল্টলেক- রাজারহাট-নিউটাউনে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মসূচিতেও তাকে দেখা যায় নি। তা হলে তৃণমূলের সঙ্গে কী অনেক আগে থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

মুকুল সব্যসাচীর আলোচণার মাঝে  সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক ও রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয় বর্গীয়। মুকুল রায় তার বাড়িতে আসা নিয়ে  সব্যসাচী দত্ত বলেন, " কেউ যদি বাড়িতে আসতে চান। তা হলেই আসতেই পারেন। সকল কেই স্বাগতম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই"। মুকুল বলেছেন , বৌমা নিজের হাতে লুচি আলুর দম তৈরি করে খাইয়েছে । আর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন, সব্যসাচীর স্ত্রী অসুস্হ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad