প্রেসকার্ড নিউজ , বারাসত
পরনে হলুদ শাড়ি, খোঁপায় সাদা ফুল আর মুখের দুপাশে নীল হলুদ রং। উপস্হিত সাংবাদিক থেকে সাথে থাকা কয়েক হাজার মহিলা কেউ বুঝতে পারেন নি প্রকাশ্যে রাস্তায় নাত নেড়ে কোমর দুলিয়ে বসন্ত উতসবের মেজাজে কবিগুরুর গানের তালে নাচবেন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী তথা দুবারের সাংসদ ডাক্তার কাকলী ঘোষদস্তিদার। রাস্তার দুপাশের উপস্হিত পথচারী থেকে উপস্হিত সকলেই ক্ষনিকের অবাকভাব কাটিয়ে ক্যামেরা বন্দি করলেন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থীর।
বুধবার বিকেল চারটের সময় বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার চাঁপাডালি মোড় থেকে মিলনীর মাঠ পর্যন্ত মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে প্রচারে নামেন। এই প্রচারের নাম দেওয়া হয়েছিল হোলির র্যালী।বর্নাঢ্য র্যালীর আগে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা সাংসদ প্রার্থীর সাথে নীল সাদা আবীর খেলেন।এদিনের হোলির র্যালিতে নাচের ট্রুপের মেয়েদের আনা হয় তার স্বরে কবিগুরুর গানের তালে নাচার জন্য। রং মেখে র্যালীর মেয়েদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে কাকলী ঘোষদস্তিদার কখনও দুহাত জোড় করে ভোট ভিক্ষা করছেন আবার গান গাইতে থাকেন।একপর্যায়ে র্যালী দাঁড় করিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গিতের তালে নাচা মেয়েদের সাথে নাচতে শুরু করেন। উপস্হিত সবাই অবাক হন পঞ্চাশোর্ধ তৃণমূল প্রার্থীর ফিটনেস দেখে।কারণ, কাকলী ঘোষদস্তিদার নাচের সময় দাঁড়াননি।এমনকি নাচের পরও হেঁটে প্রচার করেন।
প্রচার শেষে কাকলী ঘোষদস্তিদার বলেন, একজন মানুষ কে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছেন।সব্যসাচী দত্ত প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের শুরুতে একথা জানিয়ে কাকলি ঘোষ দস্তিদার পরিষ্কার বার্তা দিলেন যে সব্যসাচী দত্ত কে গুরুত্ব দিতে তিনি নারাজ।তিনি আরো যোগ করেন, তৃণমূল একটা পরিবারের মতো,যে পরিবারে প্রধান মমতা ব্যানার্জী।তৃণমূল নামক মোহিরুহর শেকড় অত্যন্ত গভীরে,যারা তেইশ দলীয় জোটে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে,যার নের্তৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।তার আরো সংযুক্তি,নীরব মোদিকে আরো আগে গ্রেফতার করা উচিত ছিল।বুধ বার বারাসাত শহরে তার প্রথম প্রচারের দিনে দার্থহীন ভাষায় জানালেন বারাসাতের বিদায়ী সাংসদ ও এবারের তৃণমূল প্রার্থী।
No comments:
Post a Comment