বৌদিকে ধর্ষণ ও গর্ভস্থ ভ্রূণ হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রেফতার দেওর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 24 February 2019

বৌদিকে ধর্ষণ ও গর্ভস্থ ভ্রূণ হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রেফতার দেওর



images
দিনের পর দিন বেড়ে চলা নৃশংসতার ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনগ্রামে। বৌদিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও গর্ভস্থ ভ্রুণকে হত্যার করার অভিযোগে নির্যাতিতার দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম আসাদুল ঢালি। শারীরিক অত্যাচার করে ও নির্যাতিতার গর্ভস্থ ভ্রুণকেও হত্যা করে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ঐ নির্যাতিতা মহিলা তার দেওরের নামে ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙড় থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে শনিবার। ধৃতকে এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।


images+%252821%2529

নির্যাতিতার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মালঞ্চ পদ্মপুকুরে। প্রায় নয় বছর আগে ভাঙড় থানার বনগ্রামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সাত বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সুখের সংসারে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তার নিজের দেওর। নির্যাতিতা জানান, গত শনিবার বাইকের চাবি নেওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে মুখে গামছা চাপা দিয়ে জোড় করে ধর্ষণ করে তাকে। ধর্ষণের কথা স্বামীকে বললে স্বামী নিজের ভাইকে বাচাঁনোর জন্য চেপে যেতে বলেন। সকালে শ্বশুরকে বিষয়টি জানালেও শ্বশুড় বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন। তার কিছুক্ষণ পর দেওর ও শাশুড়ি মিলে তাকে বেধরক মারধোর করে বলে ও অভিযোগ। অভিযুক্ত দেওর নির্যাতিতার পেটে একাধিক লাথি মারে। যার জন্য প্রায় দুই মাসের গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ নির্মমভাবে তাদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। পরে পেটে লাথি মেরে মেয়ের গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে।
Death_Pictures

ঘটনার পর গত কয়েকদিন ভাঙড়ের নলমুরি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর শনিবার সকালে ভাঙড় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। অপরাধীর শাস্তি দাবী করেছেন তিনি। এদিন অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad