তৃণ্ময় বেরা, ঝাড়গ্রামঃ- রাস্তায় এক মহিলাকে উদভ্রান্তের মতাে ঘুরতে দেখে পিঠে খাইয়েছিলেন তিনি। খাওয়ার ফাঁকে সুদীপ্ত বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাঁর নাম মিঠু মিত্র, বাড়ি বরাহনগরে। এরপরই মহিলার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পােস্ট দেন সুদীপ্ত ঐ পোস্টের সূত্র ধরে ।
দু’বছর ধরে বাড়ি থেকে উধাও এক মহিলার খোঁজ পেলেন তাঁর পরিজনরা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন মিঠু দেবী। ওই সময়ে মিঠু দেবীর প্রিয়জন কাশীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সুদীপ্ত বাবুরা কয়েকজন মিলে মিঠুদেবীকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। জেলা হাসপাতালে সংক্রামক রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁকে, তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। মিঠু দেবীর দুই বোন রবিবার ঝাড়গ্রামে আসেন, এবং ঝাড়গ্রামে এসে সুদীপ্ত বাবুকে ফোন করে জানতে পারেন যে তাদের দিদি জেলা হাসপাতালে আছেন। তারপর তারা জেলাহাসপাতালে এলে দিদির কাছে গেলে দিদি অর্থাৎ মিঠু দেবী তার বোনদের চিনতে পারেন এবং মুখে তৃপ্তির হাসি লক্ষ্য করা যায়। মিঠু দেবী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমার বোন এটা, এবং শুধু বলতে থাকেন আমি বাড়ী যাব। সুদীপ্ত বাবু তিনি ও তার সমস্ত বন্ধুরা খুব খুশী যে তারা মিঠু দেবীর পরিবারের হাতে তার হারিয়ে যাওয়া বোনকে তুলে দিতে পেরেছেন।
No comments:
Post a Comment