তৃণমূলের কর্মীরা ভিতরে ভিতরে বিজেপির টাকা নিয়েছে : মমতা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 16 December 2020

তৃণমূলের কর্মীরা ভিতরে ভিতরে বিজেপির টাকা নিয়েছে : মমতা

 



উত্তরবঙ্গ আগে তোমাদের বিদায় দেবে। বিজেপির উদ্দেশ্যে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আমরা আগেরবার ভিতরে ভিতরে টাকার খেলা বুঝতে পারিনি। এবার শপথ নেন। ভেদাভেদ নয় ঐক্য চাই। তাহলে কেউ হারাতে পারবেনা। 


কাপড় জামা বদলানো যায় আদর্শ বদলানো যায়না। কোচবিহারের জনসভা থেকে শুভেন্দুদের এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দু একটা জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়। যারা প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করছে তারা আছে। প্রথম দিন থেকে দল যারা করেছে তারা যায়নি। এই সভা থেকে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের নাম না করে বলেন, যাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম বিজেপি তাকে নিয়েছে। এখন সে এখানে অশান্তি করছে এখানে। 


কৃষকদের জমির খাজনা কোনও দিন দিতে হবে। অন্যান্য জমির মালিকদের পেনালটি দিতে হবে না জুন মাস পর্যন্ত। বিনা পয়সায় জুন মাস পর্যন্ত রেশন পাবেন। সরকার এলে আবারও রেশন ফ্রি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিচ্ছি। সরকার বছরে পাঁচ লাখ টাকা পাবে। প্রত্যেক পরিবার পাবে। পড়াশোনা খাদ্য, জুতো, পোশাক , টেস্ট পেপার দেই। ক্লাস এইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা ফ্রি। এক কোটি দশ লক্ষ সাইকেল দিয়েছি। ট্যাব দিচ্ছি ঘরে বসে বিনা পয়সায় পড়তে পারবে। মরে গেলেও সতকারের জন্য টাকা দিচ্ছি। 


দিল্লির বিজেপি সরকারের একটু মানবিকতা হয়নি শ্রমিকদের আনার জন্য। আমি তিনশো ট্রেনের ভাড়া দিয়েছি। 


সিপিএম কুটুস কুটুস করে। কংগ্রেস ফুটুস ফুটুস করে। বিজেপি অঙ্কা বঙ্কা শঙ্কা। 


কৃষক বন্ধু করলে কৃষকদের জীবন একেবারে সুরক্ষিত হয়ে যাবে। 

৫৫ হাজারের ওপর সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। 


আপনাদের দিয়েছি এবার কিছু চাইবার আছে। 


আমরা মিথ্যা কথা বলে ভোট নেই না। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অনুরোধ। আপনারা দ্বায়িত্ব নিন। আপনারা 34বছর রুখে দাড়িয়েছেন। বিজেপির গুন্ডাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। 


ওদের নেতাদের জ্ঞান নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মেছেন। সব বহিরাগত গুন্ডা। মিডিয়ার সব কথা বিশ্বাস করবেন না। মিডিয়া দেখবেন না। ওরা বিজেপিকে দশ বার দেখাচ্ছে আমাকে একবারও দেখাবেনা তাই কখনও হয়। মিডিয়ার দোষ নেই। ওদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। 


বিজেপির এমন এমন সব নেতা তাদের নাম বলতে লজ্জা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বলে মেরে দাও। গুড়িয়ে দাও। 


যারা পরে টিকিট পাবেনা জানে। তারাই চলে গেছে। 

যদি টাকাটা রক্ষা করতে না পারি। যদি টিকিট না পাই অতএব বিজেপিতে যাই। 


আরএসএস কারা বহিরাগত গুন্ডা। কিছু আরএসএসের নামে গুন্ডা চলে এসছে পাড়ায় পাড়ায়। 

সুব্রত বক্সি, অনুব্রত মন্ডলকে দিল্লির নেতা বলছে কথা আছে বসব। সুব্রত বক্সি তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। রাজ্যসভার সভাপতিকে ফোন করছে। কতবড় সাহস। মিনিমাম কার্টেসি নেই।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad