নিজস্ব প্রতিবেদন: আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর একের পর এক পদ ছেড়েছেন। আর আজ সমস্ত গুঞ্জন সত্যি করে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজই হয়তো বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছেন অনুগামীদের যুবরাজ, বুধবার সকাল থেকেই শোনা জাচ্ছিল একথা। সেইমত কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিধানসভা পৌঁছেও যান শুভেন্দু এবং বিধানসভা সচিবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। আবার, ই-মেলের মাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ‘শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। কারণ, ‘ইস্তফাপত্র গ্রহণের এক্তিয়ার সচিবের নেই।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেন। ২০০৯ সালে তমলুক থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে শিল্প দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। ২০১৪ সালেও নিজের আসনে জয়ী হন শুভেন্দু। ২০১৬ সালে পদত্যাগ করে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেন। এবারেও জয় আসে। পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব তাঁর উপরেই বর্তায়। তবে, গত কয়েকমাস থেকে দলের সাথে বেশ তিক্ততার সম্পর্ক গড়ে ওঠে শুভেন্দুর। নভেম্বর মাসের শেষে তিনি প্রথমে ইস্তফা দেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে। এর পরেই ২৭ নভেম্বর ছাড়েন মন্ত্রীত্ব। কিন্তু দল বদল নিয়ে হাজারও জল্পনা থাকলেও শুভেন্দু তৃণমূলেই থেকেছেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব সামলেছেন। তবে, গত কয়েকদিনে ঘাসফুল শিবিরের সাথে শুভেন্দুর আরও দূরত্ব বেড়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। আর আজ বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সাথে সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করলেন শুভেন্দু বাবু।

No comments:
Post a Comment