নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার দলের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি নিলেন শুভেন্দু। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁর ইস্তফাপত্র। ইস্তফাপত্রে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।তবে কি কারনে দল ছাড়লেন সেই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি তাঁর ইস্তফাপত্রে।
বুধবার বিধানসভায় গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। এদিন সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল এই বিষয়ে, সেই মোতাবেক বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বিধানসভা পৌঁছেও যান শুভেন্দু এবং বিধানসভা সচিবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। আবার, ই-মেলের মাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলেও জানা যায়। এখানেই থেমে থাকেন না তিনি। ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পর নিজের প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যপালকেও চিঠি দিয়ে বসেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের প্রতিহিংসাবশত ফাঁসাতে চাইছে।
এরপরেই বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সমস্ত পদ ছেড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তাফাপত্র পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল ও দলীয় সমস্ত সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে ইস্তাফা দিলাম। এতদিন দলের জন্য কাজের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। যদিও তাঁর এই পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেন। ২০০৯ সালে তমলুক থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে শিল্প দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। ২০১৪ সালেও নিজের আসনে জয়ী হন শুভেন্দু। ২০১৬ সালে পদত্যাগ করে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেন। জয়ও আসে। দায়িত্ব পান পরিবহণ দপ্তরের। কিন্তু দলের সাথে ক্রমশই সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকায় ২৭ নভেম্বর মন্ত্রীত্ব ছাড়েন, এরপর বিধায়ক পদ এবং সবশেষে দলের সদস্য পদও ছেড়ে দিলেন আজ।

No comments:
Post a Comment