টস জিতে এবং প্রথমে ব্যাটিংয়ের পরে জিম্বাবুয়ের দল শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরির জন্য ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান তোলেন। উইলিয়ামস ১৩৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তাকে ছাড়াও ব্রেন্ডন টেলর ৬৮ বলে ৫৬ রান করেছিলেন। একই সাথে ওয়েসলি মাধওয়ার ৩৩ রান (৩১ বলে) এবং সিকান্দার রাজা ৩৬ বলে ৪৫ রান করেছিলেন। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ হাসনাইন ১০ ওভারে ২৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। একই সাথে ওয়াহাব রিয়াজ ১ উইকেট পেয়েছিলেন।
পাকিস্তানের দলের অর্ধেক খেলোয়াড় ৮৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন
পাকিস্তান দল ২৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামের। ৮৮ রানের মোট স্কোরেই পাকিস্তানের অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে ফিরেছিল। ইমাম উল হক (৪ রান), ফখর জামান (২ রান), হায়দার আলী (১৩ রান), মোহাম্মদ রিজওয়ান (১০ রান) এবং ইফতিখার আহমেদ (১৮ রান) বেশি কিছু করতে পারেননি। এর পরে অধিনায়ক বাবর আজম ও খুশদিল শাহ ষষ্ঠ উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। খুশদিল ৩৩ রান (৪৮ বলে) করেন এবং মুজারাবানির বোলে আউট হন।
বাবর ওডিআই ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতক হাঁকান
ওয়াহাব রিয়াজের সাথে বাবর সপ্তম উইকেটে ১০০ রানের অংশীদারি করেছিলেন। এদিকে, বাবর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতকের রেকর্ডটি করেন। একই সাথে ওয়াহাব তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি করেছিলেন। ওয়াহাবকে (৫২ রান) আউট করে মুজারবাণী এই জুটি ভাঙেন। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের ২০ রান দরকার ছিল। ৪৯ তম ওভারে শাহীন আফ্রিদি ও বাবর উভয়ের উইকেটে মুজারবাণী ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছিল। বাবর ১২৫ বলে ১২৫ রানে আউট হন।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান
শেষ ওভারে পাকিস্তানের ১৩ রান দরকার ছিল, তবে দলটি মাত্র ১২ রান করতে পেরেছিল এবং ম্যাচটি টাই হয়ে যায়। জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ১০ ওভারে ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। রিচার্ড নাগরওয়া এবং ডোনাল্ড তিরিপানো দুটি করে উইকেট পেয়েছিলেন।
পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে
এই পরাজয় সত্ত্বেও, পাকিস্তান ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ করে জিতেছে। প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান ২৬ রানে জিতেছিল। একই সাথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে। এখন দুটি দলই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ৭ নভেম্বর, দ্বিতীয়টি ৮ নভেম্বর এবং তৃতীয়টি ১০ নভেম্বর। তিনটি ম্যাচই রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে।
No comments:
Post a Comment