নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৭ মে: কোয়ারেন্টিন সেন্টারে খাবার ও চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ীর পথে ফিরে চলল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। গতকাল ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকরা। সেখানে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আজ তারা ওই সেন্টার ছেড়ে বাড়ীর পথে হাঁটা দিল। ওই সেন্টারে আসা তাদের পাঁচদিন মতো হয়েছিল বলে জানালেন সেন্টারের শ্রমিকরা। কিন্তু সেখানে আসা পর্যন্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে কোন রকম খাবার ব্যবস্থা তাদের জন্য করা হয়নি। বারবার প্রশাসনকে বলে এব্যাপারে কোন সুরাহা হয়নি বলে জানাচ্ছেন ওই সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাই আজ বাধ্য হয়ে বাড়ী ফিরলেন এলাকায় শ্রমিকরা।
সেন্টারে থাকা এক শ্রমিক সুরোজ সাহা জানাচ্ছেন, "আমরা সেন্টারে পাঁচ দিন থেকে আছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের জন্য কোন খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। এখানে শৌচালয়ের অনেক অসুবিধা আছে। আমরা এ ব্যাপারে থানায় জানিয়েছিলাম। খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় আজ আমরা বাড়ী ফিরে চললাম"।
এদিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে না থেকেই এলাকায় ফিরতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকায় ফিরে ওই পরিচয় শ্রমিকরা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-এর বিভিন্ন এলাকা থেকে। এতে আরও সংক্রমনের ভয় বাড়বে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
এলাকার বাসিন্দা চন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলে যে কোয়ারেন্টিন সেন্টারটি খোলা হয়েছিল সেখানে আমরা শুনেছিলাম ৫০ জন মত শ্রমিক রয়েছে। প্রশাসনের উচিৎ ছিল ওই সমস্ত শ্রমিকদের থাকা আর সঙ্গে সঙ্গে খাবারের দায়িত্ব নেওয়া। সমস্ত শ্রমিক খাবার না পেয়ে সেন্টার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে এলাকায় সংক্রমনের আশঙ্কা কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে। এতদিন লকডাউন করে আর কোন লাভ হবে না যদি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারা যায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রিসবা খাতুনের স্বামী আফজাল হোসেন কে ফোন এ ধরা হলে তিনি জানান, খাবার-দাবার ব্যবস্থা আমাদের পঞ্চায়েত থেকে দিতে হবে এমন কোন সরকারি নির্দেশ নেই। আমরা মাস্ক সাবান প্রভৃতি ওই সেন্টারে দিয়েছিলাম। স্থানীয় মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলবো যাতে পুনরায় শ্রমিকদের ওখানে আনা যায়।
এদিকে সেন্টার থেকে শ্রমিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে গ্রামে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়ীতে এসে বাড়ীর লোকদের সঙ্গে একই ঘরে থাকছেন। এমন চিত্র ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়।



No comments:
Post a Comment